সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক ঘণ্টা আগেই সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছে তরতাজা ছেলে। কিন্তু, তারপরও ভেঙে পড়েননি জঙ্গি হামলায় শহিদ সিআরপিএফ জওয়ান রতন ঠাকুরের বাবা। বরং দেশের সুরক্ষার জন্য অন্য ছেলেকে উৎসর্গ করতেও তাঁর হৃদয় যে একফোঁটা কাঁপবে না তা বলছেন দ্বিধাহীন কন্ঠে। বিহারের ভাগলপুরের বাড়িতে বসে অশ্রুভেজা চোখে একদিকে যেমন পুলওয়ামার ঘটনার জন্য সরকারের কাছে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার দাবি করছেন, তেমনি নিজের অন্য ছেলেকে দেশের সুরক্ষায় উৎসর্গ করতে চাইছেন। এমনকী নাতিকেও যুদ্ধে পাঠানোর কথা বলেন তিনি। দৃপ্তভঙ্গীতে নিরঞ্জনের ঘোষণা, “দেশের জন্যই লড়েই প্রাণ দিক ওরা। এটাই চাই আমি।”
[ [ গত দু’দশকে যে সব ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ভারতকে]]
বৃহস্পতিবার জম্মু থেকে কাশ্মীর যাওয়ার পথে পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফের কনভয়ের উপর হামলা চালায় জইশ-ই মহম্মদ জঙ্গিরা। হামলায় ৪৯ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন তাঁদেরই একজন ছিলেন ভাগলপুরের বাসিন্দা রতন ঠাকুর। সন্তান হারানোর সেই যন্ত্রণা বুকে নিয়েও সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা ঝোঁকাতে চাইছেন না তাঁর বাবা। উলটে ছেলের জন্য গর্বিত এক বাবার মতোই বলছেন, ‘আমার এক ছেলে দেশমাতৃকার পায়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। দরকারে আমার অন্য ছেলেও দেশের জন্য আত্মবলিদান দেবে।’
পুলওয়ামার এই ঘটনার পরেই পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করে বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত। পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া বন্ধ না হলে ইসলামাবাদকে কড়া মূল্য চোকাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে হামলার পিছনে তাদের হাত নেই বলে দাবি করেছে পাক প্রশাসন। যদিও এই কথা যে কেউ বিশ্বাস করেনি, তা আজ আমেরিকার হুঁশিয়ারি থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। পুলওয়ামার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সন্ত্রাসের আতুঁড়ঘর হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের মাটি থেকে জঙ্গিদের মদত দেওয়া এখনই বন্ধ করতে বলে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
[ [ জঙ্গি হামলার বদলা চাই, ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি ক্ষুব্ধ দেশবাসীর]]