সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলায় হারজিত থাকে। একদিকে খুশির আলো থাকলে অন্যদিকে অন্ধকার থাকবেই। কিন্তু আলো-অন্ধকার পেরিয়ে যা থাকে, তা হল দেশের মাথা উঁচু করা। ফ্রান্সের হয়ে যা করেছেন এমবাপে-গ্রিজম্যানরা। অন্যদিকে মদ্রিচরা দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু ক্রোয়েশিয়াকে ফুটবলবিশ্বের মানচিত্রে অনেকটাই উপরে তুলে এনেছেন। তাই এমবাপেদের জন্য রেড কার্পেট পাতা হল, তেমনই বীরের সম্মান দেওয়া হল মদ্রিচদের।
[ কোচ সাউথগেটকে সম্মান জানাতে ইংল্যান্ডে বদলে গেল স্টেশনের নাম ]
বিশ্বজয়ী হওয়ার রাতেই প্যারিসে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন দেশের এই জয় সেলিব্রেট করতে। রাশিয়া থেকে এমবাপেরা ফেরার পরই তাঁদের অভিবাদন জানাতে তৈরি ছিল গোটা দেশ। বিমানবন্দরেই পাতা ছিল রেড কার্পেট। প্রেসিডেন্টের তরফে বিশেষ সম্মান জানানো হবে বিশ্বজয়ী দল ও দলের কোচকে। এছাড়া সমর্থক ও খেলোয়াড়দের নিয়ে প্যারেডেরও আয়োজন করা হয়েছে। লরিস যখন ট্রফি হাতে দেশের মাটিতে পা রাখলেন, তখনই তাঁদের জন্য কয়েক হাজার সমর্থকের ভিড় বিমানবন্দরে। উৎসাহীদের চিৎকারই বলে দিচ্ছিল কতটা আনন্দিত তারা। খেতাবের লড়াইয়ে জিতে যাওয়ার পর এই উন্মাদনার জন্যই বোধহয় অপেক্ষা করছিলেন গ্রিজম্যানরাও। তাঁদের মুখের হাসিই বলে দিচ্ছিল কতটা তৃপ্ত তাঁরা। আসলে ট্রফির থেকে এই ভালবাসার মূল্য তো কোনও অংশে কম নয়। তাঁরাও যেমন তৃপ্ত, তেমনই আনন্দিত গোটা দেশ। দেশজুড়ে তাই যেন জাতীয় উৎসবের পালা। এমনকী বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশনের নামও বদলে ফেলা হয়েছে বিশ্বজয়ীদের সম্মানে।
বিশ্বজয়ী না হলেও ক্রোটদের জন্যও তোলা ছিল বীরের অভিবাদন। যেভাবে এই বিশ্বকাপে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মদ্রিচরা, তাতে বিশ্বজয়ের আর বাকি কিছু নেই। আনুষ্ঠানিক খেতাবটাই শুধু হাতছাড়া হয়েছে। গোটা বিশ্বের হৃদয় জিতে নিয়েছেন তাঁরা। লুঝনিকিতেই ক্রোট প্রেসিডেন্টের আলিঙ্গন বুঝিয়ে দিয়েছিল, হেরেও কতটা তৃপ্ত গোটা দেশ। দেশে ফেরা থেকেই সে উষ্ণতার স্পর্শ পাচ্ছেন মদ্রিচরা। বিমানবন্দর থেকে হাজারে হাজারে মানুষের আওয়াজ, উত্তেজনা জানিয়ে দিয়েছিল, বিশ্বকাপ না জিতেও যেন বিশ্বজয়ী হয়েছেন তাঁরা। ছোট্ট দেশের তরফে মদ্রিচদের এই বিরাট জয়কে সম্মান জানানোরও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
The post এমবাপেদের জন্য রেড কার্পেট, বীরের সম্মান মদ্রিচদেরও appeared first on Sangbad Pratidin.