সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বিয়ে হয়েছে। এবারই প্রথম পুজো(Durga Puja 2024)। ষষ্ঠী থেকে দশমী চুটিয়ে আনন্দ করতে হবে তো! শরতের আকাশে প্রেমের আশকারা। সম্পর্কের সুতোয় ভালোবাসার ফুল গাঁথার এই তো সময়। বিয়ে অ্যারেঞ্জ হোক বা প্রেম করে, উৎসবের এই সময়টা কিন্তু মিস করা যাবে না। প্রত্যেকটা মুহূর্তকে এত সুন্দর করে তুলতে হবে যাতে ভবিষ্যতে যখনই ভাবতে বসবেন মনে যেন একটা তৃপ্তির অনুভূতি থাকে। উৎসবের আনন্দ কীভাবে হবে দ্বিগুণ? এই ভাবনা যদি আপনার মনে থাকে তাহলে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা কিন্তু আগেই করে ফেলবেন। কোন সময়টা নিজের বাড়িতে কাটাবেন, আর কোন সময়টা নতুন হওয়া শ্বশুরবাড়িতে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভাগাভাগিটা আগে থেকেই দুই পরিবারকে জানিয়ে রাখবেন। যাতে দুই তরফেই সন্তুষ্টি থাকে।
চেষ্টা করবেন লাঞ্চটা যাতে বাড়িতে করতে পারেন। এই সময়টায় কিন্তু রান্নাঘরের এক্সপেরিমেন্টটা করে ফেলতেই পারেন। নতুন কোনও পদ রান্না করে ফেলুন। সঙ্গীকে চমকে দিন। শোনা যায়, স্বাদের বাহারে নাকি প্রেম বাড়ে। যদি তা হয় তাহলে বাঙালির ক্ষেত্রে তো এই বিষয়টি বেশি করে বলা যায়। ডিনারটা বাইরের জন্যই রাখুন।
পুজোর এই সময় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও তো আড্ডা দিতে হবে। অবশ্যই দিন। কিন্তু আড্ডার ফাঁকে সঙ্গীরও খেয়াল রাখুন। চোখের ইশারায়, হাতের আলতো ছোঁয়ায় তাঁকে বুঝিয়ে দিন যে আপনার মনটি তাঁর কাছেই রয়েছে। মাঝে মাঝে জানতে চান, তাঁর কিছু প্রয়োজন কি না।
পুজোর সময় পেটপুজো দেদার চলে। তবে খাবার বাছার ক্ষেত্রে নিজের চাইতে সঙ্গীর ইচ্ছেকে আগে প্রাধান্য দিন। তাঁর কী পছন্দ বা কী খেতে ইচ্ছে করছে তা জানতে চান। পিজ্জার একটা টুকরো শেয়ার করে খেলেও কিন্তু প্রেম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
বিয়ের পর প্রথম পুজোর প্রথম অঞ্জলি সবসময় স্পেশাল। আগে দেখুন আপনার সঙ্গে কীভাবে সাজছেন। সেই অনুযায়ী নিজের পোশাক কো-অর্ডিনেট করে ফেলুন। চাইলে কালার ম্যাচিংও করতে পারেন। অঞ্জলি দেওয়ার সময় অবশ্যই সঙ্গীর পাশে থাকবেন।
সবশেষে সিঁদুর খেলা। প্রথমবার দেবীকে বরণ করার সুযোগ। সুন্দর করে থালা সাজাবেন মেয়েরা। আর ছেলেরা কী করবেন? হ্যাঁ, থালাটি ধরে যদি নতুন বউয়ের পাশে দাঁড়ান তাহলে কিন্তু তিনি খুশিই হবেন। আপনিও তাঁর সুন্দর ছবি তোলার সুযোগ পাবেন। ভালোবাসার রঙে নতুন জীবন হবে রঙিন।