অরিজিৎ গুপ্তও অসিত রজক: রবিবার মা সারদার ১৭২তম জন্মদিবস। মায়ের আশীর্বাদ পেতে সকাল থেকেই ভক্ত, পর্যটকদের ভিড় বাঁকুড়ার জয়রামবাটি, কামারপুকুরে। এদিকে হাওড়ার বেলুড় মঠেও ভিড় করছেন ভক্তরা। দুজায়গাতেই সকাল থেকে বিশেষ পুজো, যজ্ঞ শুরু হয়েছে।
রবিবার ভোরবেলায় বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি, মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটি প্রভাত ফেরির আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এছাড়াও দিনভর ভক্তিগীতি, সানাই পরিবেশন, মাতৃ সঙ্গীত ও বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন রয়েছে। সন্ধ্যায় আরতি ও পুজো হবে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা-সহ উত্তরবঙ্গ থেকেও অনেকে এসেছেন মায়ের দর্শনের জন্য।
এই বছরই জয়রামবাটিতে প্রথম মা সারদা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারের উদ্যোগে, আমোদর নদের তীরে ২০ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা। শুক্রবার বিকেলে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন, শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতির্ময়ানন্দজী মহারাজ ( অধ্যক্ষ শ্রী শ্রী মাতৃ মন্দির জয়রামবাটি), শ্রীমৎ স্বামী যুগেশ্বরানন্দজী মহারাজ ( শ্রী মাতৃ মন্দির জয়রামবাটি)।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মায়ের নামে আমোদর নদের ধারে বিশেষ আরতির আয়োজন করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্যান্য সব জায়গায় শীতের সময়ে মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু জয়রামবাটিতে সেইভাবে সর্বজনীন কোনও মেলা হয় না। তাই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মেলার আয়োজন করার দাবি উঠছিল। অবশেষে সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে এলাকার বিশিষ্টজনেরা একত্রিত হয়ে এবার এই প্রথম মেলার আয়োজন করলেন।
জয়রামবাটি, কামারপুকুরের পাশাপাশি, হাওড়ার বেলুড় মঠেও মা সারদার পুজো শুরু হয়েছে। সকালে বিশেষ পুজো হয়েছে। ভোর ৪টে ৪৫ মিনিটে মায়ের মন্দিরে মঙ্গলারতির মধ্যে দিয়ে পুজোর সূচনা হয়েছে। মূল মন্দিরের বাঁদিকে গঙ্গার ধারে অস্থায়ী মঞ্চে সকাল থেকেই চলছে স্তবগান, ভজন, মাতৃ সঙ্গীত মায়ের কথা, পদাবলী, কীর্তন, গীতনাট্য, বাউল গান ও ভজন চলছে। বেলা ১১টা থেকে দুটো পর্যন্ত হবে প্রসাদ বিতরণ। সন্ধ্যারতি ও ভজনের মধ্যে দিয়ে আজ সারদা মায়ের ১৭২ তম জন্মদিনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মা সারদা জন্মভূমি ও বেলুড় মঠের মন্দিরে ভিড় বাড়ছে ভক্তদের।