সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬ জুলাই ২৪ বছর পূর্ণ হবে কার্গিল যুদ্ধের (Kargil war)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই লড়াইয়ে শহিদ হন ভারতের ৫২৭ জন বীর জওয়ান। এই বলিদানের কথা দেশবাসী আজও ভোলেননি। আর সেদিনের শহিদদের কথা বলতে বসলে উঠে আসে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার নামও (Captain Vikram Batra)। তিনিও ছিলেন তাঁদেরই একজন। মৃত্যুর পরে দুই দশক পেরিয়ে এসেও এদেশের বুকে জেগে রয়েছে বিক্রমের অসমসাহসী লড়াকু ব্যক্তিত্বের দ্যুতি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে শহিদ হয়ে তিনি অমর হয়ে রয়েছেন জনমানসে। সম্প্রতি বিক্রমকে নিয়ে তৈরি হওয়া ‘শের শাহ’ ছবিতে ধরা পড়েছে তাঁর শৌর্য। সেই সঙ্গে তাঁর প্রেমিক সত্তাকেও তুলে ধরা হয়েছে সেখানে।
ছোটবেলায় দূরদর্শনে ‘পরমবীর চক্র’ অনুষ্ঠান দেখেই বিক্রমের মনে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন জন্মায়। কলেজে এনসিসিতে যোগ দেন তিনি। সেরা ক্যাডেটও হন। এরপর দেরাদুনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি হয়ে মাত্র ১৯ বছরেই সেনাবাহিনীর সদস্যপদ পান ‘শের শাহ’ নামে পরিচিত সাহসী তরুণটি।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গলিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন, শেখ নূর আমিনের আসল পরিচয় কী?]
১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসের ত্রয়োদশ ব্যাটেলিয়নের সদস্য হিসেবে যোগ দেন বিক্রম। ৭ জুলাই ‘পয়েন্ট ৪৮৭৫’ দখল করতে অভিযান শুরু করে বিক্রমের নেতৃত্বাধীন দল। পাক সেনার ভয়ংকর গুলিবর্ষণের মুখে পড়তে হয় তাদের। তবুও তাঁর অসমসাহসী নেতৃত্বে শেষপর্যন্ত আসে সাফল্য। কিন্তু এরপরই বিক্রম জানতে পারেন, তাঁর সহকর্মী রাইফেলম্যান সঞ্জয় কুমার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে রয়েছেন। ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে জেনেও সঞ্জয়কে উদ্ধার করতে যান বিক্রম। আর তখনই পাক সেনার গুলিতে শহিদ হন তিনি।
হাসতে হাসতে তিনি বলতেন, ”ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর।” বিখ্যাত বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইনই যেন কীভাবে হয়ে উঠেছিল তাঁর জীবনের লাইটহাউস। বিক্রম চলে গিয়েছেন। কিন্তু সদা হাস্যমুখ তরুণটির স্মৃতি রয়ে গিয়েছে। কার্গিল যুদ্ধ ও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের আত্মাহুতির প্রসঙ্গ উঠলে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার নামও উঠে আসে বারবার।