সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পয়লা বৈশাখের দিন ঘটেছিল ঘটনা। সলমন খানের বাড়ি অর্থাৎ মুম্বই গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে একাধিক গ্রেপ্তারি হয়েছে। যার মধ্যে একজনের আবার হাজতেই মৃত্যু হয়। মৃতের নাম অনুজ থাপন। তাঁর মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে বম্বে হাই কোর্টে হয় মামলা। অভিযোগ পত্রে সলমন খানের (Salman Khan) নামও ছিল। সেই নাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সলমন খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পালকে (২১) গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। ধৃতদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই দুজনকে জেরা করেই তাপি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলার কথা জানতে পারে পুলিশ। নদী থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি বন্দুক ও তিনটি ম্যাগাজিন। এপ্রিল মাসেই আবার পাঞ্জাব থেকে সোনু কুমার বিষ্ণোই ও অনুজ থাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: চাবুক শরীর, শার্টলেস ছবিতে নেটপাড়ায় ঝড় তুলতে ওস্তাদ সোনাক্ষীর ‘হবু বর’ জাহির]
এর পরই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। হাজতে অনুজ থাপনের মৃত্যু হয়। শোনা যায়, আত্মহত্যা করেছে সে। যদিও এই তথ্য অনুজের পরিবার মানতে নারাজ। ছেলের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হোক। এই আর্জি নিয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুজের মা রীতা দেবী। তাঁর আইনজীবীর দাখিল করা পিটিশনেই সলমন খানের নাম লেখা ছিল। এতে আপত্তি বিচারপতি রেবতী মোহিতে-দেরে ও শ্যাম ছন্দকের ডিভিশন বেঞ্চের।
যে মানুষটা নিজেই এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তাঁর নাম কেন পিটিশনে রাখা হয়েছে? প্রশ্ন দুই বিচারপতির। এর কোনও যুক্তি নেই বলেই মনে করেন তাঁরা। তার চেয়ে মূল বিষয়ের উপর জোর দেওয়া উচিত। সেই কারণেই সলমন খানের নাম এই মামলা থেকে সরিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তেই কিছুটা স্বস্তিতে সলমন অনুরাগীরা। অন্তত এই মামলা থেকে ভাইজান রেহাই পেলেন, এমনই মত তাঁদের। এদিকে শোনা যাচ্ছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এ আর মুরুগাদোসের অ্যাকশন সিনেমার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সলমন।