ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নিরাপত্তার স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবন, নবান্নে পুলিশ কর্মীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এবার বিধানসভাতেও পুলিশ কর্মীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর চাপল নিষেধাজ্ঞা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) ঘিরে কার্যকর হল এই কড়াকড়ি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাজসাজ রব বিধানসভায় (WB Assembly)। সিসি ক্যামেরার নজরবন্দি স্ট্রংরুম। স্ট্রংরুমের বাইরে মোতায়েন পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে পাহারা। সেই দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদেরই কড়া নির্দেশ, কোনও স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা যাবে না। সিসি ক্যামেরার ভয়ে পাহারার সময় পুলিশ কর্মীরাও কমিশনের সে নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মানছেন। শুধু সিসি ক্যামেরা নয়, কমিশনের আওতায় থাকা এই স্ট্রং রুমের পাহারাদারি কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখতে আচমকা ভিজিটে আসছেন কমিশনের কর্মীরা। সেই ভয়ও রয়েছে পুলিশকর্মীদের। তাই আপাতত পাহারার সময় পুলিশের হাতে স্মার্টফোন নৈব নৈব চ।
[আরও পড়ুন: এবারের ‘মোহনবাগান রত্ন’ কিংবদন্তি শ্যাম থাপা, ‘সুভাষ ভৌমিক’ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন কিয়ান নাসিরি]
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাফিজুল মোল্লার প্রবেশের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এই ঘটনার পরই নবান্নে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকেন। তার ফলে নিরাপত্তার কাজে গাফিলতি দিচ্ছেন তাঁরা। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে এবার থেকে নবান্নে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা আর মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। ডিউটি শুরু হওয়ার আগে তাঁদের মোবাইল জমা রাখতে হবে। অন্যান্য সরকারি দপ্তরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম লাগু হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। এর মধ্যেই বিধানসভাতেও সাময়িকভাবে এই নিয়ম কার্যকর হল।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী জোটের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ যশবন্ত সিনহা। এদিকে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইছে রাজ্য বিজেপি। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ করতে ‘নিরপেক্ষ’ আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। দেশের সাংবিধানিক প্রধানের নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও মসৃণ করতে বিধানসভায় নিরাপত্তা আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে।