সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যবিত্তর জন্য সামান্য স্বস্তি। মে মাসে দেশের বাজারে সামান্য কমল খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail Inflation)। ফলে মূল্যবৃদ্ধিতে পরতে পারে লাগাম। সোমবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের তরফে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এপ্রিলে দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৭৯ শতাংশ। মে মাসে তা সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৭.০৪ শতাংশ।
দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পর পর দু’বার রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। তাও সেই বৃদ্ধি হয়েছে একমাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে সরকারও। এর পরই মে মাসে সামান্য কমল মুদ্রাস্ফীতি। মূলত, খাদ্যদ্রব্যের দাম কমায় দেশের খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতি সামান্য কমল। এর ফলে আরবিআই রেপো রেট বৃদ্ধির ধারায় লাগাম পরাতে পারে।
[আরও পড়ুন: ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মুখ্যমন্ত্রী! বিল পাশ বিধানসভায়, রাজ্যপালের সম্মতির অপেক্ষা]
সরকারি রিপোর্ট বলছে, গত মাসে গ্রামাঞ্চলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেশকিছুটা পড়েছিল। শহরাঞ্চলে এই পতন ছিল সামান্যই। আবার কেন্দ্রীয় সরকার কর কমাতেই জ্বালানির দামে পতন হয়েছে বেশ কিছুটা। তার সুফলও মিলেছে।
জ্বালানি জ্বালায় জর্জরিত জনতা। ভোজ্য তেল, আনাজপাতির দামে ছেঁকা লাগছে পকেটে। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। ফলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের নীতিতে যে আশানুরূপ ফল মিলছে না তা স্পষ্ট। রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, শুরুতেই মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭ শতাংশ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বেড়ে ৬.৭ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। আরবিআইয়ের ‘মানিটারি পলিসি কমিটি’র বৈঠকের পর এটা স্পষ্ট যে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নিচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বলে রাখা ভাল, ২০২২-২৩ সালের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
[আরও পড়ুন: প্রাইমারি TET দুর্নীতির তদন্তেও সিবিআই, চাকরি খোয়ালেন ২৬৯ জন]
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৫ শতাংশ বলে পূর্বাভাস রিজার্ভ ব্যাংকের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তা যথাক্রমে ৭.৪ ও ৬.২ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে আরবিআই জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৮ শতাংশ অর্থাৎ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।