সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কটাক্ষ করে তুমুল ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন রেবন্ত রেড্ডি। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সম্মান করেন শীর্ষ আদালতকেও। রেবন্তের আরও দাবি, তাঁর বক্তব্যের কিছুটা অংশ আলাদাভাবে তুলে ধরে অপব্যাখ্যা হচ্ছে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রেবন্ত লেখেন, "গত ২৯ আগস্ট বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রিপোর্টে আমার মন্তব্যগুলো এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যাতে মনে হচ্ছে আমি আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। আমি আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, বিচারব্যবস্থার উপরে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টগুলোতে আমার যে মানসিকতা ফুটে উঠেছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি নিঃশর্তভাবে সম্মান করি আমি।"
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে বেশি পড়ুয়া আত্মহত্যার হার! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়েকে মার্চ মাসে দিল্লি আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। এর একমাস পর তাঁকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেই জোড়া মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে জামিন পেয়েছেন কবিতা। সেই সুপ্রিম নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন রেবন্ত। মাত্র পাঁচ মাসেই কীভাবে জামিন পেলেন মদ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কে কবিতা। নেপথ্যে বিজেপির হাত নয় তো? প্রশ্ন তুলেছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রেবন্তকে তোপ দেগে বলে, “একবার দেখুন আপনি কী ভাষায় কথা বলেছেন। আপনি নিজে পড়েছেন কী বলেছেন? এটা একজন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা!” কংগ্রেসের ওই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বিচারপতি বি আর গভই বলেন, “এবার কি আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে? আমরা কারও সমালোচনার ধার ধারি না। নিজেদের কাজটা সজ্ঞানেই করি।”