সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বলছে রোহতক। ভণ্ড বাবা রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর হিংসার পুনরাবৃত্তি রুখতে তৎপর প্রশাসন। ডেরা প্রধানের ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পর সতর্ক ছিল পুলিশ থেকে আধা সেনা। হরিয়ানার পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হলেও, ডেরা প্রধান রাম রহিমের আরও এক কুকীর্তির নজির প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানা-পাঞ্জাব জুড়ে নতুন করে তাণ্ডব চালাতে সমাজবিরোধীদের প্রচুর টাকা দেওয়ার ছক ছিল ডেরার। তা জানতে পেরে প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন।
আম্বালা পুলিশ এক ডেরা ভক্তের বাড়ি থেকে ওই বিপুল পরিমান অর্থ আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হিংসা ছড়াতে ও গুন্ডাবেশী ভক্তদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ করতে এই টাকা আনা হয়েছিল। কেন টাকার জোগাড়? এই বিষয়ে পুলিশের দাবি, সাজা ঘোষণার পরেই যাতে অশান্তি নতুন করে ছড়ানো যায় সে জন্যই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
[বাড়ল মেয়াদ, ধর্ষণে দোষী রাম রহিমের কারাদণ্ড ২০ বছরের]
হরিয়ানার রোহতকে গত তিন দিন ধরে কারফিউ চলছে। অফিস, কাছারি, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ। জনজীবন স্তব্ধ। সব জায়গাতেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। সন্দেহ হলেই কোনও ব্যক্তিকে আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হরিয়ানা-পাঞ্জাবের কোনও অঞ্চলে হিংসার খবর না থাকলেও গোয়েন্দা সূত্রে খবর গণ্ডগোল তৈরি করতে সোমবার সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল রাম রহিমের অনুগামীরা। এরই মধ্যে আবার হরিয়ানা-পাঞ্জাবে ১৩০টি ডেরা ক্যাম্পাসে তল্লাশি চালিয়ে রড, লাঠি, পেট্রোল বোমা বানানোর সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে। সিরসার আশ্রমের কাছে একটি গাড়ি থেকে একে-৪৭ এবং পিস্তলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হিংসা ছড়াতেই মূলত ডেরা অনুগামী জয়রাম বিভিন্ন ভক্তর কাছ থেকে টাকা তুলেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অশোক কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জয়রামের বিষয়ে জানা যায়। কিন্তু, জালে আসার আগেই পলাতক জয়রাম। এখানেই শেষ নয়, পুনীত নামে আরও এক ব্যক্তিকে ধরেছে পুলিশ। সেও ‘ধর্ষক বাবা’-র অনুগামী। জানা গিয়েছে, সে জান্ডালি গ্রামের বাসিন্দা। তার ওপরও হিংসা ছড়ানোর দায়িত্ব ছিল দাবি করেছে প্রশাসন। আপাতত পুলিশ হেপাজতে রয়েছে বাবা’র দুই অনুগামী।
[রাম রহিমের ফাঁসি চেয়ে পথে বারাণসীর সাধু-সন্তরা]
The post ভণ্ড বাবার চক্রান্ত ফাঁস, হিংসা ছড়াতে নগদ ৩৮ লক্ষ টাকা ইনাম appeared first on Sangbad Pratidin.