ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির রিভিউ মিটিং ঘিরে বিতর্ক। একদিকে মঙ্গলবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে রিভিউ মিটিং ডেকেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই জেলার বিধায়কদের সেখানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে একই দিনে বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এই পর্বের মূল বক্তা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অধিবেশন ছেড়ে রিভিউ বৈঠকে যেতে নারাজ ওই বিধায়করা। তাঁরা সেই আপত্তির কথা দলীয় উচ্চ নেতৃ্ত্বকে জানিয়েছেন বলেও খবর।
[আরও পড়ুন : ‘ফড়ণবিসের ৮০ ঘণ্টার মুখ্যমন্ত্রিত্ব আসলে নাটক’, মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন প্রাক্তন মন্ত্রী]
সম্প্রতি সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা জানতে এবং দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল লক্ষ্য ছিল, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ। সেই উদ্দেশে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছেন বিধায়করা। এমনকী, গ্রামবাসীদের বাড়িতে রাত্রিযাপনও করেছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে আখেরে দলের কতটা লাভ হল? তা জানতে এবার পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটের একটি অফিসে নদিয়ার ১৭ জন ও পূর্ব বর্ধমানের ১৪ জন তৃণমূল বিধায়ককে রিভিউ বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর উপস্থিত থাকবেন।
[আরও পড়ুন : তৃণমূলে ফিরতে চান মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু! যোগাযোগ করছেন আরও ৩ বিধায়ক]
এদিকে সারা রাজ্যে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। রাজ্যোর এই পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবারই বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়পর্বে আলোচনা হওয়ার কথা। সেই পর্বের মূল বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই অধিবেশন চললে তা ছেড়ে বিধায়কদের পক্ষে অন্য কোনও বৈঠকে যাওয়া সম্ভব হয় না। তার উপর আবার মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। ফলে কোনওভাবেই এই অধিবেশন ছেড়ে য়েতে রাজি নন ওই দুই জেলার বিধায়করা। তাঁদের সেই আপত্তির কথা ইতিমধ্যেই দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তাঁরা। এখন দলীয় নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেন তার দিকেই তাকিয়ে ওই বিধায়করা।
The post মমতা না অভিষেক, কার বৈঠকে যাবেন? চিন্তায় দুই জেলার তৃণমূল বিধায়করা appeared first on Sangbad Pratidin.