সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির ময়দানে নানা সময়ে নানা অপবাদ জুটেছে। কেলেঙ্কারির সঙ্গেও জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জেলেও গিয়েছেন। তবে গুণমুগ্ধ থেকে বিরোধী সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, তামিলনাড়ুর উন্নতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের পুরুষতান্ত্রিকতা তো ভেঙেইছিলেন। এছাড়া এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জয়ললিতা, যা সত্যি বৈপ্লবিক।
মহিলাদের বিয়ের জন্য চালু করেচিলেন বিশেষ গোল্ড স্কিম, যার নাম থাল্লিক্কু থাঙ্গাম। কয়েক হাজার দরিদ্র মহিলা এর ফলে কম টাকায় সোনা পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই সে আশীর্বাদ ভুলতে পারেননি রাজ্যের রমণীরা।
মদের দোকানে তালা ঝোলানো তাঁর আর এক কৃতিত্ব। তবে একেবারে এ কাজ না করে বারেবারে নেশার হাত থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন সাধারণ মানুষকে।
একসময় লটারির নেশায় সর্বস্বান্ত হত মানুষ। রাজস্বের ক্ষতি মাথায় নিয়েও তা বন্ধের নিদান দিয়েছিলেন।
রাজ্যে ক্ষুদ্রশিল্পে উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা ছিল জরুরি। আর তাই সৌরশক্তির উপর জোর দেন জয়ললিতা। তাঁতিদের ঘরে ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
কৃষির উন্নতির জন্য বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মতো মাস্টারস্ট্রোক দেন। এছাড়া মুল্লাপেরিয়ার বাঁধের সংস্কার করেও কৃষিকে বাড়তি গতি দিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও ব্যাপক ভূমিকা নিয়েছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গ্রন্থাগারকে বানিয়ে তুলেছিলেন শিশু হাসপাতাল।
এছাড়া জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে বহু পড়ুয়াদের দিয়েছেন ল্যাপটপ। মিড ডে মিল থেকে ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা করেছেন।
আর তাঁর এই কাজগুলিই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল জয়ললিতাকে। বহুবার প্রতিপক্ষরা তাঁকে রাজনৈতিক ময়দানে কাবু করেছে। কিন্তু নিখাদ জনপ্রিয়তাই তাঁকে বারবার ফিরিয়ে এনেছে। তবে শেষমেশ পারল না। সমস্ত মানুষের প্রার্থনাকে পিছনে ফেলে মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করতে করতে জীবনের পরপারে চলে গেলেন আম্মা।
The post মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন জয়ললিতা? appeared first on Sangbad Pratidin.