সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তায় সিসিটিভি ও সফটওয়্যারের জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র এক টাকা! তা নিয়ে সুপ্রিম আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। তাতে আইনজীবীর সাফাই, কাজ চলতে থাকে। প্রয়োজন মতো বাড়ানো হয় বরাদ্দ। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মোতাবেক নিরাপত্তার কাজ কত দূর এগোল সেই প্রশ্নও করা হয়। জবাবে রাজ্যের প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, সমস্ত হাসপাতালে নিরাপত্তার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। আর জি করে অনুমতি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকায় কাজ আটকে ছিল। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলেও আদালতে জানাল রাজ্য। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি দাবি করলেন, রাজ্যের তরফে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কোথাও কোথাও সবেমাত্র কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
অভয়ার সুবিচারের পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতেও সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা না হলে সম্পূর্ণভাবে কাজে ফিরতে নারাজ তাঁরা। বিষয়টাকে রাজ্য বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও দাবি করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একাধিকবার বৈঠক হলেও রাজ্যের তরফে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি বলেই দাবি। এসবের মাঝেই মঙ্গলবার ষষ্ঠ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে আর দ্বিবেদী জানান, সমস্ত হাসপাতালে নিরাপত্তার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তবে আর জি করে অনুমতি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকায় কাজ আটকে ছিল। চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে। যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি দাবি করলেন, রাজ্যের তরফে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। তাঁর দাবি, কোথাও কোথাও সবেমাত্র কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং আদালতে এদিন বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলেও ডাক্তাররা আংশিকভাবে কাজে ফিরেছেন। কয়েকজন অনশন করছেন। আন্দোলন ও কাজ একসঙ্গে চলছে।
এর পরই ওঠে বাজেটে হাসপাতালের নিরাপত্তায় রাজ্যের বরাদ্দ প্রসঙ্গ। তথ্য বলছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তায় সিসিটিভিতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ১ টাকা! কেন? সেক্ষেত্রে কীভাবে চলত হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ? সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। এতেই রাজ্যের সাফাই, কাজ চলতে থাকে। প্রয়োজন মতো বাড়ানো হয় বরাদ্দ।