সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিন্ন রাজনৈতিক মত হলেই আপত্তি! আর জি করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে। একাধিক প্রতিষ্ঠানে একই পরিস্থিতি। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণালের প্রশ্ন, "এই ছেলেমেয়েগুলি কোথায় যাবে? কীভাবে পড়বে? কীভাবে কাজ করবে? এরাও মেধাবী।"
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের দাবি দাওয়া একাধিক বার বদলেছে। সুপ্রিম অনুরোধও তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারীদের দাবি সিংহভাগ মেনে নিয়েছেন। রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়নি। তার চেয়েও বড় সমস্যা হল, যেসব জুনিয়র চিকিৎসকরা এই আন্দোলনের অংশ নন, যারা কাজে যোগ দিতে চান, তাঁদেরও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এদিন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কুণাল অভিযোগ করলেন, "মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা সরকার নেবে না। সরকার কথা রাখছে। কিন্তু উলটোদিকে আন্দোলনকারীদের চাপে আর জি করের ৫১ জন-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বহু জুনিয়র ডাক্তারকে যে কোনও অভিযোগ তুলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।" কুণাল বলছেন, "কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু চলতি পরিস্থিতির সুযোগে যে কোনও অভিযোগ রটিয়ে, অধ্যক্ষদের ঘেরাও করে চাপ দিয়ে রাজনৈতিক বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের সরাচ্ছে কিছু আন্দোলনকারী। এই ছেলেমেয়েগুলি কোথায় যাবে? কীভাবে পড়বে? কীভাবে কাজ করবে? এরাও মেধাবী। অবিলম্বে এদের সমস্যার সমাধানও করা দরকার।"
তৃণমূল নেতার উদ্বেগ, "যাদের উপর রাগ আছে, এখন তাদের গায়ে কোনও তকমা লাগিয়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ঢোকা বন্ধ করার প্রবণতা আপত্তিকর। এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।"