অর্ণব আইচ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি তদন্তে নেমে আরও বিস্ফোরক তথ্য পেল সিবিআই। সন্দীপ ঘোষ(Sandip Ghosh) ও আশিস পাণ্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই আশিস পাণ্ডে মারফত সন্দীপ 'ঘনিষ্ঠ'দের কাছে টাকা পৌঁছেছে, বলেই দাবি সিবিআইয়ের। তবে কেন সন্দীপ 'ঘনিষ্ঠ'দের টাকা পাঠানো হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
আশিস এবং সন্দীপকে জেরা করে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে সিবিআই। আশিস পাণ্ডে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। আশিসকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে শনিবার ফের সন্দীপ ঘোষকে ফের জেরা করবেন আধিকারিকরা। আদালতের অনুমতি নিয়েই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে ফেরা তাঁকে জেরা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অপসারণের দাবি ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে আসে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসে। বর্তমানে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডেরও তদন্ত করছে সিবিআই। সন্দীপের গ্রেপ্তারির পর থ্রেট কালচারের অভিযোগে আশিস পাণ্ডের নাম সামনে আসে। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গত বৃহস্পতিবার আশিস পাণ্ডেকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সন্দীপ 'ঘনিষ্ঠ' আশিস হাউস স্টাফ হয়ে গিয়েছিলেন বলেই দাবি সিবিআইয়ের। এবার দুজনের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও হাতে পেলেন তদন্তকারীরা।