সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুগলে সার্চ করলে উইকিপিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের নাম। যে ছবিটি দেখা যাচ্ছে, সেটির সঙ্গে মিল রয়েছে নির্যাতিতার হেয়ারস্টাইলেরও। অবিলম্বে উইকিপিডিয়া থেকে নাম ও ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের।
ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে ন্যায় সংহিতার ৭২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নির্যাতিতার নাম বা পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যাবে না। আদালতের নির্দেশিকা না মানলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নেওয়া যেতে পারে। হতে পারে দোষীর আর্থিক জরিমানা কিংবা জেল হেফাজত। তা সত্ত্বেও তরুণী চিকিৎসকের নাম এবং তাঁর হেয়ার স্টাইলের সঙ্গে সাযুজ্য রাখা ছবিতে আপত্তি প্রধান বিচারপতির। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "সমাজমাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে মৃতার পরিচয় প্রকাশ্যে এনে ভুল করা হয়েছে। তা মুছে ফেলতে হবে।"
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। ওই তরুণী চিকিৎসকের নাম প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী, কুণাল সরকারকেও তলব করে লালবাজার। পুলিশি তলবে হাজিরা দেন তাঁরা। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর লালবাজার থেকে বেরিয়ে সাফ জানান তাঁরা, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় বার বার তরুণী চিকিৎসকের নাম বলেছেন। তা সত্ত্বেও কেনও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না লালবাজার, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। এর পর চাপের মুখে পদক্ষেপ নেয় লালবাজার। তার পরই সন্দীপকেও তলব করে লালবাজার।