সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে প্রায় একমাস ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিচার না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে গত রবিবার রাতে সাফ জানিয়ছিলেন তাঁরা। তবে এবার তাঁদের প্রতি কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আর জি কর মামলার শুনানির সময়ে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে হবে চিকিৎসকদের। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি তাঁরা কাজে না ফেরেন, তাহলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য। তবে আদালত এটাও জানায়, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।
এদিন আর জি কর মামলায়(RG Kar Case) দ্বিতীয় দফার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী গীতা লুথরা। তিনি বলেন, শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তাররা হুমকির মুখে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না হলে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। কর্মবিরতি প্রসঙ্গে লুথরা বলেন, সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন। ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয়নি।
[আরও পড়ুন: RG Kar: নমুনা সংগ্রহ, প্রমাণ লোপাট নিয়ে প্রশ্ন! ফের সিবিআইকে স্টেটাস রিপোর্ট জমার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
পালটা রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের যুক্তি, কর্মবিরতির জেরে ২৩ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ৬ লক্ষ রোগী বিপদে। হাজার রোগীর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি আটকে রয়েছে। এবার তাঁদের কাজে ফেরাতে রাজ্য পদক্ষেপ নিতে চায়। শীর্ষ আদালতের কাছে সেই অনুমতি চান সিব্বল। তিনি আরও বলেন, আহত পুলিশকর্মীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি ভয়াবহ।
দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কাজ করবেন এসপি এবং জেলাশাসকরা। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থেকে শুরু করে আরও নানা পদক্ষেপ করা হবে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতেই হবে। আগামিকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এর অন্যথায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেই পারে। সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে কর্মবিরতি চলবে এটা হতে পারে না।