সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ফের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে। গত মঙ্গলবারের শুনানিতে যা যা নির্দেশ আদালত দিয়েছে, সেগুলির অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হতে পারে।
গত মঙ্গলবারের শুনানিতে সিবিআই মুখবদ্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করেছে। তদন্তের গতিতে সন্তোষপ্রকাশ করলেও সেই রিপোর্টে কী আছে তা প্রকাশ্যে আনেনি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী শুনানিতেও সেই নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা কম। কারণ গত শুনানিতেই শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, তদন্তে সিবিআইকে সময় দিতে হবে। তবে মঙ্গলবার যে নির্দেশগুলি দিয়েছে সেগুলির অগ্রগতি কতদূর তা খতিয়ে দেখা হতে পারে।
মঙ্গলবারের শুনানিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। রাজ্য সরকারের 'রাত্তিরের সাথী' প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। হাসপাতালের নিরাপত্তায় বেসরকারি সংস্থার বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগে আপত্তি জানায় সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসক, মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ও সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে হাসপাতালে শৌচাগার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। মহিলা চিকিৎসকেরা সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গেলে তাদের বায়োমেট্রিক নেওয়া দরকার। নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্যসচিবকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্য এই পদক্ষেপগুলির জন্য ১৪ দিন সময় চেয়েছিল। একই সঙ্গে উইকিপিডিয়াকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্যাতিতার ছবি এবং নাম সরিয়ে ফেলার।
এই নির্দেশগুলির কতটা কার্যকর হল? রাজ্যের তরফে আগামী শুনানিতে সেটা লিখিত আকারে জানানো হতে পারে। আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়, জুনিয়ররা কাজে ফিরলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও অচলাবস্থা না কাটায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি পর্যন্তও যদি জট না কাটে। তাহলে এ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিতে পারে শীর্ষ আদালত।