সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য। এমতাবস্থায় সোশাল মিডিয়ায় 'প্রতিবাদী' ট্রোল-মিমে যেমন শিল্পীদের কটাক্ষ করা হচ্ছে, তেমনই সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে! আমজনতা হোক কিংবা সেলেব, নেটপাড়ার একাংশের সোশাল ওয়ালে 'মিডিয়া' কর্মীদের নিয়ে 'নানা মুনির নানা মত'! দিনরাত এক করে শহরের পথেঘাটে খবরের খোঁজে ফেরা সংবাদিকদের জন্য এবার আওয়াজ তুললেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। পাশাপাশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মীদেরও বাহবা দিলেন অভিনেত্রী।
শনিবার রাতে আর জি কর হাসপাতালের প্রতিবাদী মঞ্চে বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, অনির্বাণ চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, সুজন নীল মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে হাজির ছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। সেখানেই সংবাদিক এবং পুলিশদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, "তদন্তকারীরা বাধ্য হচ্ছেন সেই সমস্ত মানুষগুলোকে ধরতে, কারণ আপনারা সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে আগেভাগেই সেসব মানুষের হদিশ দিয়ে যাচ্ছেন, কাদের ধরা উচিত। আপনারা প্রথম দিন থেকে আন্দোলনরত ডাক্তারদের সঙ্গে রয়েছেন। সমস্ত পুলিশকর্মীদেরও ধন্যবাদ যাঁরা এত অপমান সহ্য করেও আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। যে ঘটনা ঘটেছে, তার দায় কাউকে না কাউকে তো নিতেই হবে। যাদের দায় নেওয়ার কথা তাঁরা অন্য কারও গায়ে ঠেলে দিলে মুশকিল! আমরা নাট্যকর্মী। সকলে বলেন, আমাদের কাজ রং মেখে সং সাজা। তা হলে সেই কাজ ছেড়ে পথে নামতে হচ্ছে কেন? এটা তো আমাদের কাজ নয়। "
[আরও পড়ুন: শিল্পী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ, ডিভোর্সের কথা জানালেন স্ত্রী মধুজা]
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত, ১৪ আগস্ট থেকেই বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছে শহর তিলোত্তমা। 'তিলোত্তমা'র বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন আমজনতা থেকে সেলেব, অনেকেই। সকলেই বিচায় চেয়ে প্রতিবাদী মিছিলে শামিল হয়েছেন। শনিবার রাতেও আর জি কর হাসপাতালে শামিল হয়েছিলেন বাংলার নাট্যজগতের ব্যক্তিত্বরা। গিরিশ মঞ্চ থেকে পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছে যান তাঁরা। এদিন নাট্যকর্মীরা এও আশ্বাস দেন যে, তাঁরা আবার আসবেন প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সঙ্গে রাত জাগতে।