নিরুফা খাতুন: তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে 'মেয়েদের রাত দখল' অভিযানের মাঝেই হামলার ঘটনা ঘটে গিয়েছে আর জি কর হাসপাতালে। পুলিশি নিরাপত্তার ফাঁক হলে প্রায় শতাধিক হামলাকারীর ওই তাণ্ডব তুলে দিয়েছে বহু প্রশ্ন। তদন্তের মাঝে কেন এমন হামলা? কারাই বা রয়েছে নেপথ্যে? উদ্দেশ্য কী ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দ্রুত কিনারা করতে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) তৈরি করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম তৈরি হয়েছে বলে খবর।
আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) গত ১৪ আগস্ট রাতে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজে বাম যুব সংগঠনের পতাকা দেখা গিয়েছে। তবে কি ডিওয়াইএফআই (DYFI)হামলা চালিয়েছে? শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগের তির অবশ্য বিরোধীদের দিকেই। আবার একাংশের মত, হামলাকারীরা পরিচয় আড়াল করতেই ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা ব্যবহার করেছিল? এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চল্লিশজনের কাছাকাছি গ্রেপ্তার হয়েছে। এই মামলার দ্রুত কিনারা করতে ১৫ সদস্যের সিট গঠন করল লালবাজারের (Lalbazar) গুন্ডাদমন শাখা। এই সদস্যরাই আপাতত সবদিক খতিয়ে দেখবেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ! আর জি করের আর্থিক ‘বেনিয়মে’র তদন্তে SIT গড়ল রাজ্য]
শাসকদল এ বিষয়ে বার বারই দাবি করেছে, চিকিৎসকদের আন্দোলনকে দমন করতে বহিরাগত 'গুন্ডা'দের পাঠিয়ে এমন জঘন্য কাজ সংগঠিত করেছে বিরোধীরা। প্রমাণ লোপাটের জন্য এই ভাঙচুর কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এসবের কিনারা করতে এই তদন্তে আরও জোর দিল লালবাজার। গুন্ডাদমন শাখার তরফে ১৫ জনকে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হল। তাঁরাই এবার তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।