গোবিন্দ রায়: আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ তাঁরই প্রাক্তন সহকর্মী। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসার পর থেকেই দেদার দুর্নীতি করেছেন সন্দীপ। এই অভিযোগ তুলে ইডি তদন্ত চেয়ে বুধবার সকালে মামলা দায়ের করেছেন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এসজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। তিনিও মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। সবমিলিয়ে সন্দীপের বিপদ যে আরও বড় বাড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সন্দীপ ঘোষের আমলে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) দেদার দুর্নীতির কথা কার্যত মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তড়িঘড়ি সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। টানা থানায় আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআরও হয়েছে। এর মধ্যে ইডি তদন্তের দাবি উঠল। আখতার আলির দাবি, রাজ্যের সিট নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে না। বরং সন্দীপকে বাঁচাতেই এই সিট তৈরি হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীর। আলির দাবি, সন্দীপবাবু দায়িত্বে আসার পর থেকেই দুর্নীতি শুরু করেছেন। টাকার বিনিময়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশ করাতেন। টাকা না দিলে অনুগত কয়েকজনকে দিয়ে চাপ তৈরি করা হত। এমনকী হাসপাতালে ব্যবহার হওয়া সিরিঞ্জ ও অন্যান্য বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বাইরে পাচার করেছেন সন্দীপ।
[আরও পড়ুন: তরুণী ডাক্তারের খুনের পরই উধাও আর জি করের PGT যুগল, দানা বাঁধছে রহস্য]
আখতারের আরও বিস্ফোরক দাবি. ২ বছর আগে এই দুর্নীতি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। উলটে তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। এই সমস্ত অভিযোগ করে ইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আখতার আলি। পাশাপাশি নিজের পরিবারের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।