গোবিন্দ রায়: কলকাতা পুলিশের তদন্তে সংশয় রয়েছে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চান আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। সেই আবেদন জানিয়ে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার এই আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে উচ্চ আদালত। শুনানির দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। মা-বাবার আশঙ্কা, তদন্ত ঠিকপথে এগোচ্ছে না। অনেক সন্দেহভাজনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়নি। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হলে তাঁরা আশ্বস্ত হতে পারবেন বলে আবেদনে জানিয়েছে পানিহাটির সন্তানহারা পরিবার। তাঁদের হয়ে সওয়াল করছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এর আগে সোমবারই এই ঘটনায় চারটি জনস্বার্থ (PIL) মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী, আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এবং সৌম্যশুভ্র রায় নামে জনৈক ব্যক্তি মোট চারটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলাই প্রধান বিচারপতির এজলাসে দায়ের করা হয়েছে। আজ সেসব মামলার শুনানি হওয়ার কথা। আর এদিনই নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারও পৃথক মামলা দায়ের করলেন।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ এখন ইউক্রেনের হাতেই! প্রবল চাপে পুতিন বাহিনী]
এই মামলার কিনারা করতে কলকাতা পুলিশকে সাতদিনের ডেডলাইন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পানিহাটিতে নিহত তরুণীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ''রবিবার পর্যন্ত ঘটনার কূলকিনারা না হলে আমরা আর মামলা নিজেদের হাতে রাখব না। সিবিআই-কে (CBI) দিয়ে দেব। যদিও ওদের সাফল্যের হার খুব কম।'' অন্যদিকে, গোড়া থেকেই এই মামলার কিনারায় সিবিআই তদন্তের চাপ ছিল। তা মেনে নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই সিবিআইয়ের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন পরিবারের দায়ের করা মামলায় প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজেও কি সেভাবে ভরসা করতে পারবেন না নিহতের মা-বাবা? তাই আগেভাগে আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চান?