ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও রমেন দাস: আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনার পর নিরাপত্তায় আরও জোর দিল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারদের জন্য পৃথক শৌচালয়, পোশাক বদলের জন্য আলাদা ঘর তৈরির জন্য হাসপাতালকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ঠিক হয়েছে, ৩ একর জমি বরাদ্দ করা হল। সেখানে নতুন বিল্ডিং তৈরি হবে। শনিবার এনিয়ে নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো সেখানে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
শনিবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নবান্নে (Nabanna) জরুরি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) রাজীব কুমার, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম-সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সেখানেই ঠিক হয়েছে, বেলগাছিয়া (Belgachia) ট্রাম ডিপোর কাছে অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে সামান্য দূরে ৩ একর সরকারি জমি আর জি করের জন্য দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নতুন বিল্ডিং তৈরি হবে। একটি তলের নাম হবে নিহত তরুণী চিকিৎসকের নামে। তবে তাঁর নাম যেহেতু প্রকাশ্যে আনা যাবে না, তাই ঠিক কীভাবে নামকরণ হবে, তা ভাবনার বিষয়।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসক খুনে তুলকালাম আর জি কর, অধ্যক্ষের বিতাড়ন চাইছেন আন্দোলনকারীরা]
অন্যদিকে, হাসপাতালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আর জি করে (RG Kar Hospital) প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দিনভর পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। শনিবার সেখানে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তিনি আশ্বাস দেন, পড়ুয়া-চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা (CC Camera), অন ডিউটি রুমে যথাযথ শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ রুখে দেওয়া, হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবিগুলি অবিলম্বে পূরণ করা হবে। পূর্ত দপ্তরকে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যত সিসি ক্যামেরা দরকার, তা দ্রুত দিতে হবে বলে নির্দেশ তাঁর।