নিরুফা খাতুন: আর জি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনার পর রাতের মহানগরে নিরাপত্তা আরও জোরাল করছে লালবাজার। রাতে নজরদারিতে ট্রাফিক পুলিশের জন্য এসওপি (SOP) চালু করা হয়েছে বলে খবর। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতাল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বহুতল ও শপিং মলগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালাতে হবে। ওইসব জায়গা কতটা সুরক্ষিত, অপরাধমূলক কার্জকম হয় কি না - সেসব খুঁটিনাটি বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে এবার থেকে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার দিকে গুরুত্ব বাড়াচ্ছে লালবাজার। আর সেই দায়িত্বে রাতের ডিউটিতে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের। ট্রা
ফিক গার্ডগুলি রাতে নিজেদের কর্তব্য পালন করছে কি না, তার নজরদারি করতে সুপারভাইজিং আধিকারিক থাকছেন। তাঁরা রাতে ট্রাফিক গার্ডগুলিতে ভিজিট করবেন। এছাড়া রাতে নজরদারিতে অ্যাডিশনাল কমিশনার (ACP) ও ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকরাও থাকবেন। কর্মরত নাইট অফিসার ও কর্মীদের তিনি ব্রিফ করবেন।
[আরও পড়ুন: আর জি করে নৃশংস কাণ্ডের প্রতিবাদ! জন্মদিনেও ম্লান প্রতিষ্ঠাতার হাওড়ার বাড়ি]
শহরে নজরদারিতে রাতে ট্রাফিক পুলিশের টহলদারি থাকে। রাস্তায় নাকা চেকিং, বেপরোয়া গাড়ি এবং চালকদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই ট্রাফিক পুলিশের প্রধান কর্তব্য। আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের পর রাতে শহর সুরক্ষায় এবার ট্রাফিক পুলিশকেও নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার লালবাজার (Lalbazar) ট্রাফিক বিভাগ থেকে ট্রাফিক গার্ডগুলিকে নয়া এসওপি পাঠানো হয়েছে। ট্রাফিক গার্ডগুলি কীভাবে রাতে নজরদারি চালাবে, আধিকারিকদের কী কী দায়িত্ব থাকবে, তার একটি গাইডলাইন করে দেওয়া হয়েছে -
- প্রথমত, রাতে ডিউটির জন্য কর্মরত আধিকারিককে ট্রাফিক (Traffick) গার্ডগুলি থেকে এলাকা ভাগ করে দেবে। ট্রাফিক গার্ডের একজন নাইট অফিসার নাকা চেকিংয়ে থাকবে। অন্য আধিকারিক সঙ্গে একজন ফোর্স নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বহুতল ও শপিংগুলিতে টহলদারি করবেন।
- যদি কোনও রকম ঘটনা তাঁদের নজরে আসে সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের (Control Room) পাশাপাশি লালবাজার কন্ট্রোল রুম ও সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের কন্ট্রোল রুমকে জানাতে হবে। যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে সংশ্লিষ্ট ডিসিকেও (DC) জানাতে হবে।
- আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে কিংবা অপরাধজনিত কিছু ঘটলে নাইট অফিসারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
- ওসি (OC) ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমকে পেট্রোলিংয়ে থাকা পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের রোজের তালিকা তৈরি করে লালবাজার কন্ট্রোল রুমকে পাঠাতে হবে।
- ট্রাফিক গার্ডের ওসিকে কর্মরত নাইট আধিকারিকে এ ব্যাপারে নিয়মিত ব্রিফ করতে হবে।
- অনুমোদনহীন কোথাও কোনও খননকার্য হচ্ছে কি না সেদিকে নাইট আধিকারিকদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে ট্রাফিক গার্ডের ওসির সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
- রাতে টহলদারির (Patrollimg) সময় সব অফিসারকে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে।
- রাতে কর্মরত আধিকারিকদের আগ্নেয়াস্ত্র (Arms) সঙ্গে রাখতে হবে।
- রাতের কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিচ্ছে কি না তাঁদের উপর নজরদারি রাখবেন সুপারভাইজিং অফিসাররা। সেজন্য নিজ নিজ জুরিডিকশনে থাকা ট্রাফিক গার্ডগুলিতে রাতে ভিজিট করবেন তাঁরা।