সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও পথে নেমে আবার কখন গণ কনভেনশনে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আগামী পয়লা সেপ্টেম্বরের ‘মহামিছিল’-এর ১১ দফা দাবির কথাও জানিয়েছেন। “আমরা তিলোত্তমা, আমাদের দাবি” শীর্ষক একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। এবার কোনও শিল্পীর রাজনৈতিক পদে থাকা নিয়ে এই উত্তাল পরিস্থিতিতে প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)।
ফেসবুক লাইভে সোহিনী এক নেটিজেনের প্রশ্নের সূত্র ধরে বলেন, "আমার মতে, কোনও শিল্পী যেকোনও রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করতেই পারেন। কিন্তু কোনও পদে যেতে পারেন না। কোনও শিল্পীর এই ২০২৪ সালে কোনও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা উচিতই নয়। পদ আর ক্ষমতা পেয়ে গেলে কেউই আর ঠিক থাকেন না। কারণ, আমি একা পদে নেই। আমার উপরে যিনি রয়েছেন তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তাঁর মতো করেই আমাকে কাজ করতে হবে। গদিতে এমন মোহমায়া রয়েছে, যে মানুষকে আর মানুষ থাকতে দেয় না। কোনও শিল্পীর রাজনৈতিক চেতনা থাকতেই পারে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনও শিল্পীর পদে যাওয়াকে বিশ্বাস করি না। কেউ গেলেও তার বিরোধিতা করি।" তবে তারকাদের রাজনীতি যোগ নতুন কিছু নয়। পদে থাকার ঘটনাও চেনা প্রায় সকলেরই। কারণ, বিজেপি হোক কিংবা তৃণমূল - প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেই তারকাদের পদে থাকার বহু উদাহরণ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘এনাফ ইজ এনাফ’, আর জি কর কাণ্ডে এবার ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু]
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। ওই রাতেও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। তার পরই সব শেষ। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে গত ১৩ আগস্ট থেকে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার (RG Kar Incident) তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে এখনও পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বেশ কয়েকজনের পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে। তবে তদন্তভার নেওয়ার পর নতুন করে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই। কবে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলবে? কবে সুবিচার পাবেন সদ্য সন্তানহারা বাবা-মা? এমন একাধিক প্রশ্নে আপাতত মুখর মহানগরী।