সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিত্যদিন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। কখনও অডিও রেকর্ডিং নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে, তো আবার কখনও বা সিসিটিভি ফুটেজ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এহেন নানাবিধ খবরের মাঝেই পনেরো দিন কিন্তু পেরিয়ে গিয়েছে এবং সিবিআই চুপ, সেকথাই বৃহস্পতিবার আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
আর জি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে প্রথম থেকেই সরব সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ১৪ আগস্ট নারীদের রাত দখলের অভিযানেও সাম্যের বার্তা নিয়ে পথে নেমেছিলেন পরিচালক। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা দিবসের রাতেও সোজা পৌঁছে গিয়েছিলেন আর জি কর হাসপাতালে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকতে। এবার সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও মুখ খুললেন সৃজিত। পরিচালকের সাফ মন্তব্য, "আমার শহর কিন্তু ছেড়ে কথা বলবে না।"
ফেসবুক পোস্টে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের একজোট হওয়া ছবি শেয়ার করে সৃজিত শহর তিলোত্তমার 'স্পিরিটের' কথা মনে করিয়ে দিলেন। লিখলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর নির্যাতিতার বাবা-মায়ের মধ্যেকার রোমহর্ষক ফোন কলের রেকর্ড। ক্রাইম সিনের সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে যেভাবে জায়গাটি সংরক্ষিত রাখার দাবি জানানো হয়েছিল, সেটাও নস্যাৎ করে দিয়েছে মৃতার মা-বাবা। প্রাক্তন পুলিশদের বর্ণনা অনুযায়ী ইনকোয়েস্ট এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও অসামঞ্জস্য। আর পনেরো দিন হয়ে গেল, সিবিআই এখনও নীরব। আমার মনে হয় না, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমার শহর চুপ করে থাকবে।"
গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় পুলিশ হেফাজতে, অন্যদিকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নিত্যদিন সিবিআই জেরার মুখে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সন্দীপকে। তবে ঘটনার দু সপ্তাহ পেরলেও এখনও পর্যন্ত অন্য কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। যেখানে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে, এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড কারও একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়! প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে। গত বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত প্রক্রিয়াকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে ‘রাজনীতি করার’ অভিযোগও উঠছে নানা মহলে। সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল-মিমের বাজারে আন্দোলনের উদ্দেশ্যই যেন দিশেহারা! এমতাবস্থায় আবারও তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক মনে করিয়ে দিলেন, ভুলে গেলে চলবে না!