সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Issue) আবহে নিজের শো পিছিয়ে দেন শ্রেয়া ঘোষাল। শো পিছিয়ে দিয়েছিলেন শিলাজিৎ (Silajit) ও। সেই শোয়ের নতুন তারিখ ধার্য হয়েছে। কাজ তো করতেই হবে। তাই আগামী ১৪ তারিখ মঞ্চে উঠে গাইবেন শিলাজিৎ মজুমদার। এমন খবরে ট্রোলের পালাও শুরু হয়ে যায়। তারই জবাব সোশাল মিডিয়ায় দিলেন শিল্পী। জানালেন 'শিল্পীদের কিছু কথা।'
ছবি: ফেসবুক
নিজের ভিডিও বার্তায় শিলাজিৎ বলেন, "আমরা গায়করা, অভিনেতারা, শিল্পীরা তাঁদের যে কাজ করছি সেই কাজগুলো যদি আমরা জানাই তাহলে দেখছি খুব অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব প্রাসঙ্গিক বলে আমি ভিডিওটা করলাম। ভিডিওটা করার উদ্দেশ আমার কিছু কথা বলা, কিছু জিনিস একটু ক্ল্যারিফাই করা। দেখুন আমরা শিল্পীরা নিশ্চয়ই কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসাধারণ কিন্তু সেই শেষে গিয়ে আমরাও সাধারণ মানুষ। আমাদেরও একটা পেশা আছে... চাষি যেমন চাষ করে তেমনই আমরাও আমাদের মতো কাজ করি।"
[আরও পড়ুন: ফের যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত জয়জিৎ, এবার নিগ্রহের অভিযোগ মডেলের, অভিনেতা কী বলছেন?]
নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্লার্ক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, চা-ওয়ালা, সবজি বিক্রেতা, অটোচালকদের উদাহরণ দিয়ে শিলাজিৎ জানান, এঁরা প্রত্যেকে যেমন নিজেদের কাজ করে সংসার চালান, তেমনই গান-বাজনা, অভিনয় বা অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। তাঁদেরও সংসার চালাতে হয়। এই প্রসঙ্গে তিনি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি 'টেক্কা' সংক্রান্ত পোস্ট, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'অযোগ্য' সিনেমার ১০০ দিনের পোস্টের কথাও জানান।
শিলাজিতের বক্তব্য, যাঁরা ট্রোল করেন তাঁরা করবেন। তবে যাঁরা সাধারণ শ্রোতা বা ভক্ত। তাঁরা যেন না বুঝে কোনও অযাচিত মন্তব্য না করে বসেন। উল্লেখ্য, শিলাজিতের এই কনসার্টটি গত ২ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না। "আমি আমার বাবা মারা যাওয়ার পর শো করেছি, কিন্তু তিলোত্তমার মৃত্যুর পর পারিনি", বলেন শিল্পী।
শিলাজিৎ জানান, যাঁরা টিকিট কেটেছিলেন প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ছজন বাদে বাকি সবাইয়ের ১৪ তারিখ আসার কথা। যাঁরা যাঁরা এখনও পাস বা টিকিট কালেক্ট করেননি, তাঁদের তা সংগ্রহ করে রাখার পরামর্শ দেন শিল্পী। নিজের বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, "যাই করবেন, যাই বলবেন, কাউকে কিছু বলার আগে, কিছু করার আগে একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে নিন কাউকে কিছু বলার আগে। খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। একটা শব্দ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। পাশে না থাকতে পারেন, এমন কিছু বলবেন না যাতে আমাদের কষ্ট হয়, বা যাতে অন্য কারও কষ্ট হয়। প্রতিবাদ চলতে থাক। উই ওয়ান্ট জাস্টিস।