সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের অনুমতি নেই। তা সত্ত্বেও ধর্মতলায় মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশন করছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সেখানেই ধর্মতলার জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, "পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।"
গত ৯ আগস্ট, আর জি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে সুবিচার, নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথম দফায় টানা ৪১ দিনের মাথায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তাঁরা। গত মাসের শেষের দিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিও হয়। তার পর দীর্ঘ জিবি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যদিও গত শুক্রবার মাঝরাত থেকে কাজ ফেরেন তাঁরা। তবে দশ দফা দাবিপূরণের ডেডলাইন দিয়ে ধর্মতলায় ধরনা কর্মসূচি শুরু করেন। দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে আমরণ অনশন।
এই অনশন মঞ্চ নিয়ে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। কারণ, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে সেখানে। গত ৫ অক্টোবর, ই-মেল করে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধরনা কর্মসূচিতে এমনিই ভিড় বেশি হওয়ার কথা। তার উপর পুজোর কেনাকাটির ফলে ধর্মতলায় বেশি মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শনও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। উৎসবের কথা মাথায় রেখে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলেই ই-মেলে সাফ উল্লেখ করা হয়। তা সত্ত্বেও অবশ্য নিজেদের অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।