সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বেড়েছে নিরাপত্তা। মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে তা সত্ত্বেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দোষীকে এখনও আড়াল করার চেষ্টা চলছে বলেই অভিযোগ তাঁর। আর তার জেরে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।
রবিবার দুপুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আন্দোলনকার জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ,"কেউ নিরাপদ নন। দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনের মদতে দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসক খুনে অসংবেদনশীল আচরণ স্বাস্থ্যভবনের। মেডিক্যাল কলেজে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠ নির্বাচন করতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা কমিটিতে থাকতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। যারা সুবিচার পেতে বাধা তৈরি করছে, তাদের সামনে আনা হোক। তথ্যপ্রমাণ লোপাটে যাঁরা যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে।"
শনিবার স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসেন। তাতে জুনিয়র চিকিৎসকদেরও যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে তা প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, "রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোনও সমঝোতা চলবে না। সকলের চোখের আড়ালে মিটমাটের চেষ্টা আন্দোলনকে খাটো করে দেখা।" এদিন আরও একবার সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ছেলের মেসোশ্বশুরের সঙ্গে পরকীয়া! ‘প্রেমিকে’র সঙ্গে রাত কাটানোর পর উদ্ধার মহিলার দেহ]
কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে যে তাঁরা অনড়, তা সাফ জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরবর্তী কর্মসূচির কথাও জানিয়ে দেন। রবিবার বিকেলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সংহতি সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের অংশ নেওয়ার কথা। সোমবার বিকেলে কলকাতা মেডিক্যালে গণ কনভেনশন। কেন আর জি করের বদলে কলকাতা মেডিক্যালে গণ কনভেনশন, সে কারণও স্পষ্ট করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
তাঁরা জানান, "আমরা এর আগে গণ কনভেনশন আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, তাই অনুমতি প্রয়োজন ছিল। তাই কলকাতা মেডিক্যালে করা হবে।" সিবিআই তদন্তে পূর্ণ আস্থা রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তদন্তে কোন নতুন তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে আন্দোলনকারীরা।