সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যভবন অভিযান শুরুর আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা ফের স্পষ্ট করলেন অবস্থান। সাফ জানালেন, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে পদত্যাগ করতেই হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্যভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান চলবেই। ফলে আন্দোলনকারীদের কাজে যোগদানে সম্ভাবনা বড় প্রশ্নের মুখে। এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযানকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবন মুড়ে ফেলা হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তায়। আন্দোলনকারীদের রুখতে ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়েছে রাস্তার একাংশ।
সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। পালটা রাজ্যকেই ডেডলাইন বেঁধে দেন আন্দোলনতর জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের পাঁচ দাবি মানতে হবে। তবেই তাঁরা কাজে ফেরার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এই পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির পদত্যাগ। এবার তাতে জুড়ল স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের পদত্যাগও। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, "স্বাস্থ্যদপ্তরের ভিতরের ঘুঘুর বাসা ভাঙতেই হবে।"
[আরও পড়ুন: সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, পালটা রাজ্যকে ডেডলাইন জুনিয়র ডাক্তারদের]
জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি কী কী?
১. আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
২. তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা।
৩. স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদত্যাগ।
৪. কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা।
৫. রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।