রমেন দাস: ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে সমর্থনের বহর বাড়ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারকা জগতের একটা বড় অংশ প্রতিবাদীদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছেন, নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন, তাঁদের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন। উৎসবের মরশুমেও এই ছবি দেখা গিয়েছে ধর্মতলায়। আর জি কর ইস্যুতে সুবিচার চেয়ে শামিল হয়েছে আমজমতা। দেবী বিসর্জনের পর রবিবার সেখানে গেলেন সঙ্গীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। প্রতিবাদীদের উদ্দীপ্ত করতে শোনালেন তাঁর বিখ্যাত গান - 'আমি শুনেছি সেদিন তুমি...'। আর গান শুনে আবেগে ভাসলেন অনশনকারীরা। তাঁদের চোখে জল। শিল্পীর পাশে বসেই কাঁদলেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার অর্ণব মুখোপাধ্যায়। একইভাবে চোখ ভিজল বাকিদেরও।
বাংলা সঙ্গীতজগতে মৌসুমী ভৌমিকের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। পাশাপাশি তিনি প্রতিবাদী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর গানের ঘরানাও তেমনই। এহেন এক শিল্পী জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে পাশে এসে দাঁড়ালেন। এই মুহূর্তে ধর্মতলায় অনশন করছেন মোট ৬ জন। দু'জন অসুস্থ হয়ে আপাতত হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় অনশনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করলেন শিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। আর শোনালেন তাঁর সেই গান, যা একদিকে প্রেমের আরেকদিকে 'দ্রোহে'রও। শিল্পীকে পাশে পেয়ে গান শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রতিবাদীরা।
এদিন ধর্মতলার প্রতিবাদ চত্বরে হাজির হন কলকাতা মেট্রো রেল তথা পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, একজন নাগরিক হিসেবে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। স্টেশনের পাশে অনশনমঞ্চের জন্য কি মেট্রোর কোনও সমস্যা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। এদিন রাতে আবার আন্দোলনকারীদের তরফে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার ফের স্পষ্ট করে দিলেন যে কোনও সংস্থার তরফে বা কোনও রাজনৈতিক দলের পরিচিতি, পতাকা ছাড়া তাঁদের পাশে থাকতে চাইলে স্বাগত। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি বরদাস্ত নয় এই আন্দোলনে।
ধর্মতলার অনশনমঞ্চ চত্বরে পূর্ব রেলের CPRO কৌশিক মিত্র।