সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে বুধবার সকাল থেকেই ফের পুরনো ছন্দে ফিরেছে টলিউড। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের হাঁকডাক! সেই আবহেই শুরু হয়েছে একাধিক থমকে যাওয়া ধারাবাহিক, সিনেমা, সিরিজের শুটিং। তবে বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে ছাই চাপা আগুনের মতো মান-অভিমান এখনও সোশাল মিডিয়ার দেওয়ালে ঘুরছে। সেই আবহেই 'টলিউডের রাজনীতি' নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)। গিল্ডের কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়ায় স্বজনপোষণ থেকে একগুচ্ছ অভিযোগ তুললেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।
কৌশিকপুত্র তাঁর পোস্টে কী লিখেছেন? অভিনেতার কথায়, "যে বিষয়গুলো এখনও অস্পষ্ট- স্রেফ স্বজনপোষণের ভিত্তিতেই কি চলতে থাকবে গিল্ডের কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়া ? নাকি যোগ্যতার ভিত্তিতে বিচার করা শুরু হবে? ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকারদের কি হবে? ইন্ডিপেন্ডেন্ট শব্দটাতে কি ফেডারেশনের হস্তক্ষেপ চলতেই থাকবে? আর সবথেকে জরুরি, সিনেমার ফ্লোরে জল দেওয়ার ইতিহাস অবধি যাঁর নেই, সিনেমা নির্মাণের প্রক্রিয়ার ধাপগুলো যিনি ক্রনোলজিকালি উত্তর দিতে গেলে হোঁচট খাবেন, টেকনিসিয়ান শব্দটা বলতে যিনি ‘সিনে’র বদলে ‘পার্টি’ বোঝেন, ট্রলির হাতল ধরা আর পার্টির ঝান্ডা ধরা যে এক জিনিস নয়, এই ভাবনায় অপরিচিত এক ব্যক্তিকে সিনে ফেডারেশনের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদে ভরসা করা উচিত কি?" এই পোস্টের মাধ্যমে ঋদ্ধি যে পরোক্ষভাবে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকেই বিঁধেছেন, তা বোধহয় আর আলাদা করে উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়ে না!
[আরও পড়ুন: ‘দাদু মুসলিম, মা খ্রিস্টান’, রাহুল গান্ধীকে জাত তুলে ‘জগাখিচুড়ি’ কটাক্ষ কঙ্গনার]
প্রসঙ্গত, ঋদ্ধির পোস্টে উল্লিখিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকারদের নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলায় 'ফুচকা' নামে একটা নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আসছে, যা শুধুমাত্র স্বাধীন পরিচালকদের জন্যই। এই ওটিটির একটাই উদ্দেশ্য সকল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম মেকারদের প্রজেক্টের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার। যাতে তাঁরা নিজেদের ছবি বা প্রজেক্ট দেখানোর সুযোগ পান। অন্যদিকে টলিউডে বিভিন্ন গিল্ডের কার্ড পাওয়া নিয়েও বিগত কয়েকদিনে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনীতি, সিস্টেমের কথা উল্লেখ করে অনেকেরই অভিযোগ, যোগ্যতার ভিত্তিতে কার্ড দেওয়া হচ্ছে না। গত ৯ বছর ধরেই নাকি গিল্ডের পরীক্ষা পর্যন্ত নেওয়া হয় না। সেসব প্রসঙ্গেই এবার সরব ঋদ্ধি সেন। যিনি বরাবরই যে কোনও সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে নিজের স্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেন। আদৌ কি এসমস্ত সমস্যার সমাধান হবে? উত্তর লুকিয়ে ভবিষ্যতের গর্ভেই।