সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতি নিয়ে কেন্দ্র এবং সামাজিক মাধ্যমগুলির মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। গোপনীয়তা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের করা মামলার জবাবে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিল, কারও গোপনীয়তার অধিকার কখনও নিরঙ্কুশ হতে পারে না। প্রয়োজনে কিছু কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা যায়। কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষের গোপনীয়তার অধিকার এবং দেশের জাতীয় সুরক্ষা এই দুটির মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকেই। এর পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটারকেও কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারের নতুন নীতি নিয়ে তাঁরা কী পদক্ষেপ করছে সেটা যত দ্রুত সম্ভব জানিয়ে দেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, সরকারের নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। তাদের অভিযোগ, এর ফলে বিঘ্নিত হবে গ্রাহকদের গোপনীয়তা। কেননা নয়া নিয়ম মেনে হোয়াটসঅ্যাপে করা প্রতিটি মেসেজের দিকে নজর রাখতে গেলে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নিয়ম ভঙ্গ হয়ে যাবে। বিঘ্নিত হবে গোপনীয়তা। হোয়াটসঅ্যাপের করা সেই মামলার জবাবে রবিশংকর প্রসাদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ছেন,”ভারত সরকার সকলের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যে যে তথ্য প্রয়োজন সেটা জানতেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এবার এই দুইয়ের মাঝামাঝি কোনও উপায় বের করাটা হোয়াটসঅ্যাপের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও গুরুতর অপরাধ, বা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত কোনও মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে কেন্দ্র চাইলে মেসেজের উৎস হোয়াটসঅ্যাপকে জানাতেই হবে। আর তাছাড়া, গোপনীয়তার অধিকার-সহ কোনও মৌলিক অধিকারই নিরঙ্কুশ হতে পারে না।
[আরও পড়ুন: টিকাকরণের সার্টিফিকেটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিচ্ছেন? বড় সমস্যায় পড়তে পারেন, সতর্ক করল কেন্দ্র]
হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম কেন্দ্রের নীতি মানার ইঙ্গিত দিয়েছে, তাঁদের কাছেও কেন্দ্রের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক (Facebook) এবং টুইটারকে (Twitter) সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা কেন্দ্রের নয়া প্রাইভেসি নীতি নিয়ে কী পদক্ষেপ করেছে, সেটা জানাতে হবে। সম্ভব হলে আজই ।