দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: আগে দাঙ্গা বন্ধ হোক, শান্তির পরিবেশ না ফিরলে কোনওরকম মামলা শোনা যাবে না। জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি নির্যাতনের বিরোধিতা করে দায়ের হওয়া পিটিশনের ভিত্তিতে এমনটাই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এদিন বিক্ষোভ দেখানোর জন্য কড়া ভাষায় ধমক দেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের এই হামলাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তাঁর দাবি ছিল, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় আদালতকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করতে হবে। এদিন সেই পিটিশনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়,”ওঁরা ছাত্র মানেই এই নয়, যে আইন হাতে তুলে নিতে পারবে। এই পরিস্থিতিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এই মানসিক অবস্থায় আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আগে দাঙ্গা থামুক।” সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উদ্দেশেও এদিন কড়া বার্তা দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, “কেন সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে? বাসে আগুন লাগানো হচ্ছে কেন? যেই এই দাঙ্গা শুরু করে থাকুক না কেন, আগে এটা থামাতে হবে।” এদিন আদালত দাঙ্গাকারীদের ভর্ৎসনা করলেও ইন্দিরা জয়সিংয়ের আবেদন খারিজ করেনি। আগামিকাল মামলাটি শোনা হবে।
[আরও পড়ুন:সরাসরি CAA’র সুুবিধা পাবেন মাত্র ২৫ হাজার হিন্দু! গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্য]
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। সেই বিক্ষোভে আম আদমির বিরুদ্ধে পা মিলিয়েছে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। শুক্রবারই দিল্লিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তরফে। সেই বিক্ষোভ থেকে প্রচুর সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়েছে পড়ুয়ারা। জামিয়া মিলিয়ার পাশাপাশি আলিগড় এবং হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যায় বিক্ষোভ। এরপর গতকাল দিল্লিতে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে পুলিশ। বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে মারধর করা হয়। গুলি চালানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। মোট ৫০ জনকে আটক করা হয়।
The post ‘আগে দাঙ্গা বন্ধ হোক’, CAA ইস্যুতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের ধমক সুপ্রিম কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.