সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু ধর্মই তাঁর অনুপ্রেরণা। লন্ডনের মন্দিরে পুজো দিতে এসে এমনটাই জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। শনিবার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে বাপস শ্রীস্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে নির্বাচন। তার ঠিক আগেই ধর্ম তাঁকে কীভাবে প্রভাবিত করে সেকথা জানালেন সুনাক।
তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমি একজন হিন্দু। এবং আপনাদের মতোই আমিও আমার ধর্মবিশ্বাস থেকে অনুপ্রেরণা পাই। পার্লামেন্টের একজন সদস্য হিসেবে ভগবদ্গীতায় হাত রেখে শপথ নেওয়ার সময় আমি গর্ব অনুভব করি।'' সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ''আমার ধর্মবিশ্বাস আমাকে শিখিয়েছে নিজের কর্তব্য করে যেতে। আমার অভিভাবকদের থেকে এটা আমি জেনেছি। আর এভাবেই আমি আমার জীবনটা বাঁচি এবং বাঁচতে চেষ্টা করি। আমার মেয়েরা যখন বড় হবে ওদেরও এই শিক্ষা দিতে চাই। ধর্মই আমাকে পথ দেখিয়েছে জনসেবার পথে এগিয়ে যেতে।''
[আরও পড়ুন: কোপায় জয়ের হ্যাটট্রিক, অপরাজিত থেকে নকআউটে আর্জেন্টিনা]
উল্লেখ্য, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিবিদ বরাবরই তাঁর আধ্যাত্মিক ভাবমূর্তির পরিচয় দিয়েছেন। এর আগে ইসকন মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিভিন্ন সময়েই সেখানকার হিন্দু মন্দিরে যেতে দেখা গিয়েছে সুনাককে। ‘জয় সিয়া রাম’ ধ্বনি তুলতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। সেখানে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি (Rishi Sunak)। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েকমাসে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে ধর্মেই নিজের আস্থাকে নতুন করে বুঝে নিতে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন তিনি।