সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বানের জলে ভাসছে রাজধানী দিল্লি (Delhi)। ৪৫ বছরের রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গেছে যমুনা নদীর জলস্তর। বুধবার নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার (Flood) সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু রাস্তাকে মনে হচ্ছে নদী। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বাড়ির কাছের এলাকাও প্লাবিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিরোধ সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখে ‘হাতে হাত মিলিয়ে কাজ’ করার বার্তা দিয়েছেন।
গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। সেখানে গত কয়েক দিনে বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। আট জন এখনও নিখোঁজ। আহত ৯২ জন। সব মিলিয়ে গোটা উত্তর ভারতে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লিতেও। উত্তর ভারতে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি এলাকা থেকে সেই জল নেমে আসছে। ফলে দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। নিচু এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের মঙ্গলবার থেকেই উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। ৪৫টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির লাগোয়া দিঘি থেকে উদ্ধার নরকঙ্কাল! তদন্তে পুলিশ]
নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় মঙ্গলবার রাতেই রাজধানীর সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: দেউলিয়া সওয়ালের পরেও খারিজ জামিনের আবেদন, নিরাশ অনুব্রতকন্যা]
অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, গত তিন দিন দিল্লিতে বিশেষ বৃষ্টি হয়নি। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে যথাসম্ভব কম হারে জল ছাড়ার আরজি করেছেন তিনি। যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত জল না ছেড়ে উপায় নেই। এই জলের উৎস মূলত হিমাচল প্রদেশ। যেখানে মাত্রা ছাড়া বর্ষের কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে রাজধানীর সিভিল লাইনস এলাকার রিং রোড প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে কাশ্মীরি গেট ISBT-এর সঙ্গে মজনু কা টিলা সংযোগকারী অংশটি বন্ধ হয়েছে। ওই এলাকাটি কেজরিওয়ালের বাসভবনের থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে।