সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গভীর রাতে পাঞ্জাবের পুলিশ স্টেশনে গ্রেনেড হামলা। চণ্ডিগড়ের গোয়েন্দা দপ্তরের পর নিশানায় থানা। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি না হলেও আচমকা নাশকতামূলক হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা, মাফিয়া হরবিন্দর সিং ওরফে রিন্ডার মৃত্য়ুর বদলা নিতেই পাকিস্তানের সহযোগিতায় হামলা চালিয়েছে খলিস্তানি জঙ্গিরা। হামলার দায় স্বীকার করেছে শিখ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’ এদিকে হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পাঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব ও ফরেনসিক টিম।
পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাত একটা নাগাদ পাঞ্জাবের তরন তারন এলাকার সাহারলি পুলিশ স্টেশনে রকেট চালিত গ্রেনেড হামলা হয়। যদিও বিল্ডিংর বাইরের পিলার ছুঁয়ে কিছুটা দূরে পড়ে গ্রেনেডটি। সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে থানার বিতরে থাকা পুলিশ কর্মীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। বিল্ডিংয়েও বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু কে বা কারা এই হামলা চালাল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এক দেশ, এক আইন! অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ সংসদে]
পাঞ্জাবের তরন তারন এলাকার বাসিন্দা হরিন্দর সিং রিন্ডা। ২০০৮ সালে ব্যক্তিগত আক্রোশে এক প্রতিবেশীকে খুন করে অপরাধ জগতে হাত পাকানো শুরু করে। চণ্ডিগড়ের হোসিয়ারপুরে প্রকাশ্যে এক পঞ্চায়েত প্রধান সৎনাম সিংকে খুন করে প্রথমবার খবরে এসেছিল সে। এরপর একের পর এক কুকীর্তিতে নাম জড়াতে থাকে রিন্ডার। পুলিশ সূত্রে খবর, পাক জেহাদি গোষ্ঠী ও এ দেশের গ্যাংস্টার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার কাজ করত। সীমান্তের ওপাড় থেকে এদেশে অস্ত্র, নেশার দ্রব্য পাচারের মতো কাজ সামলাত এই কুখ্যাত জেহাদি। এরপর চলতি বছরে চন্ডিগড়ে পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরে প্রপেলড রকেটে হামলা, লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় হাত ছিল রিন্ডার। মে মাসে হরিয়ানার একটি গাড়ি থেকে বিপুল বিস্ফোরক ও নেশার দ্রব্য উদ্ধার হয়েছিল, সেই মামলার চার্জশিটেও নাম রয়েছে তার। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল তার। এধরনের ৩০টি মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল রিন্ডার।