অর্ণব আইচ: মিলল না জামিন। রোদ্দুর রায়কে (Roddur Roy) ৫ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবেন রোদ্দুর। ১৫ জুন ফের আদালতে তোলা হবে ধৃতকে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয় রোদ্দুর রায় ওরফে অনির্বাণকে। তাঁর শুনানি শুরু হতেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এজলাস। এদিন রোদ্দুর রায়ের আইনজীবী দাবি করেন, রোদ্দুরের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, আইন মেনে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এর পাশাপাশি বাক স্বাধীনতার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন তিনি। পালটা দেন সরকারি আইনজীবী। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাক স্বাধীনতা থাকলেও সেখানেও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সোশ্যাল ফোরামে চাইলেই সব কিছু বলা যায় না। এহেন যুক্তি পালটা যুক্তি চলতেই থাকে। শুনানি শেষে রোদ্দুর রায়কে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সল্টলেকে টেট পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার, অসুস্থ বেশ কয়েকজন]
উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে কিংবা ইউটিউব (Youtube) ভিডিও করে বিতর্ক তৈরি করেন রোদ্দুর। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন তিনি। দেড় ঘণ্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয়ে কথা বলেন। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিভিন্ন বিশিষ্টজনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
লাইভে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সারাধণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও। যার জেরে গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। গত মঙ্গলবার গোয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রোদ্দুরকে। বুধবার রাতে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে।