স্টাফ রিপোর্টার: উপন্যাসের দিন শেষ, এবার ছোটগল্পের দিন শুরু। সহজে বললে, টেস্টের পর এবার শুরু টি-টোয়েন্টি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ভারত (India)। আর তার আগে মনোবলবর্ধক টনিক পেয়ে গেল ভারতীয় টিম। যার নাম রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)।
কোভিডের কারণে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টন টেস্টে খেলেননি রোহিত। তাঁর জায়গায় নেতৃত্ব দেন জসপ্রীত বুমরা। যে টেস্ট শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে হয় ভারতকে। চতুর্থ ইনিংসে অবিশ্বাস্য ভাবে ৩৭৮ রান তাড়া করে সাত উইকেটে জিতে যায় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক রোহিতও নিশ্চিত করে বুঝতে পারছেন না, আসন্ন সময়ে এজবাস্টন হারের রেশ টিমের উপর কতটা পড়বে। ভারত অধিনায়কের মতে, সেই উত্তর দেবে সময়।
বোর্ড সূত্র থেকে শোনা গেল, টেস্ট টিমে থাকা কোনও কোনও ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই দেশে ফেরার তোড়জোর শুরু করে দিয়েছেন। উমেশ যাদবের মতো কেউ কেউ আবার চেষ্টা চালাচ্ছেন কোনও কাউন্টি টিমের হয়ে যদি কয়েকটা ম্যাচ খেলে নেওয়া যায়। এ সবের মধ্যে রোহিত এ দিন সাউদাম্পটন রওনা হয়ে গেলেন বার্মিংহ্যাম থেকে। গিয়ে নেট সেশনেও নেমে পড়লেন। সাউদাম্পটন টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কোচিংয়ের দায়ভার সামলাবেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ (VVS Laxman)। রাহুল দ্রাবিড় নন। এ দিন ভিভিএসের সঙ্গে লম্বা সময় আলোচনা করতে দেখা যায় রোহিতকে।
[আরও পড়ুন: একচল্লিশতম জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন ধোনি, অভিনব টুইট শেহওয়াগের]
পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রোহিত বলছিলেন, “টেস্ট সিরিজ আমাদের জেতা উচিত ছিল। এজবাস্টন টেস্ট হারাটা অত্যন্ত হতাশজনক। সময়ই বলবে, এই টেস্ট হারের প্রভাব ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টি সিরিজে পড়বে কি না?”
এমনিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা টি-টোয়েন্টি সিরিজের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন যে, ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হলেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গুছিয়ে নিতে চান। রোহিতও সেটা বলে গেলেন। বললেন, “সামনেই বিশ্বকাপ। আর সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই সিরিজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য এখন থেকে খেলা প্রতিটা ম্যাচই তাই।”
কিন্তু কোথাও গিয়ে নতুন সিরিজের আবহে যেন টেস্ট হারের শোক মিশে থাকছে। এখনও একটা চাপা হাহাকার চলছে যে, টেস্টের চতুর্থ দিন আর দু’তিন ঘণ্টা ব্যাট করলে এই বিপর্যয় ঘটত না। ইংল্যান্ড যতই ‘বাজবল’ নিয়ে বড়াই করুক, এক দিনে চারশো তারা তুলতে পারত না। শোনা গেল, দ্রাবিড় নিজেও নাকি টেস্ট শেষে টিমকে বলেছেন যে, তোমরা এই ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করো। ভেবে দেখো, কেন এজবাস্টন টেস্টটা হেরে যেতে হল?
যা গিয়েছে, গিয়েছে। এখন যদি টি-টোয়েন্টি সিরিজটা মন দিয়ে খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টিমের ব্লু প্রিন্টটা বার করা যায়!