সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সত্যিই কেউটের সন্ধান পেল বেঙ্গালুরু পুলিশ। আর এই কেউটের কবলে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন একশোরও বেশি মহিলা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত। যার নাম সাদাত খান ওরফে প্রীতম কুমার।
[১ জুলাই থেকে ভাতা বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের]
কীভাবে চলত এই বিশাল কর্মকাণ্ড? জানা গিয়েছে, আদতে কর্ণাটকের হাসান এলাকার বাসিন্দা সাদাত। বহু আগেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এরপরই বেঙ্গালুরু শহরে চলে আসে সে। প্রথমে একটি দোকানে কাজে যোগ দেয়। পরে একটি সংস্থাতে টেলিকলার হিসেবে কাজ করে। কিন্তু মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার জন্য চলে যায় সে চাকরিও।
এরপরই চটজলদি রোজগারের তাগিদে মাস্টারপ্ল্যান সাজায় সাদাত। টেলিকলার হিসেবে কাজ করার কারণে কথা বলায় বেশ দক্ষতা ছিল তার। এই সুযোগকেই কাজে লাগায় সাদাত। প্রথমে একাধিক ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে প্রোফাইল খোলে। তারপর বেছে বেছে একাকিত্বে ভোগা ও বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের সঙ্গে পরিচয় করে। ধীরে ধীরে তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত সাদাত। সে বন্ধুত্ব প্রেমে পৌঁছতে বেশি সময় লাগত না। আর সম্পর্ক প্রেমে গড়াতেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলত সাদাত। তারপর কোনও বাহানায় মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিত।
[মোদিকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি ইজরায়েলি মিডিয়ার]
কিছুদিন আগে যখন এক মহিলা সাদাতের বিরুদ্ধে বাগালুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন, তার এই কীর্তিগুলির সম্পর্কে বিন্দু বিসর্গ জানতেন না স্থানীয় পুলিশকর্মীরা। কিন্তু সাদাতকে জেরা করার পর তাঁরা জানতে পারেন, বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সবক’টি মামলা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি প্রতারিত মহিলাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই তদন্ত এগোতে চায় পুলিশ।
[পরবর্তী ছবিতে সলমনের চরিত্রের বয়স কত জানেন?]
The post বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শতাধিক মহিলাকে ঠকিয়ে পুলিশের জালে যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.