স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের টাকা তাই গ্রামাঞ্চলে বাংলার আবাস যোজনায় নির্মিত বাড়ির গায়ে নিজস্ব লোগো দেওয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। নবান্ন থেকে খুব শীঘ্রই এই লোগো জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। জেলাশাসকদের কাছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পাঠানো স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর (এসওপি) এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলাগুলির কাছে পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব চিঠি দিয়ে এই বাংলার আবাস যোজনা বা 'বাংলার বাড়ি' (গ্রামীণ)-এর জন্য তৈরি এসওপি পাঠিয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সেখানে একগুচ্ছ নির্দেশিকার কথা বলা হয়েছে। এসওপিতে জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি করার জন্য উপভোক্তারা যাতে ন্যায্যমূল্যে সিমেন্ট, ইট, লোহা-সহ নির্মাণ সামগ্রী পেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে ডিলারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিডিওদের স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে। যাতে নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহ কাঁচামাল ঠিক থাকে।
কারণ, এই উপভোক্তারা গরিব মানুষ। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে নূন্যতম পঁচিশ বর্গমিটারের এই ঘর নির্মাণের কাজ, টাকা পাওয়ার পর সর্বাধিক এক বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে উপভোক্তাদের। ভূমিহীন উপভোক্তা হলে তাঁদের ঘর করার উপযুক্ত সরকারি জমি চিহ্নিত করে পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে জেলা ভূমিসংস্কার আধিকারিককে বলা হয়েছে।
আরও এই ঘরের সঙ্গে শৌচালয় করে দিতে হবে নির্মল বাংলা প্রকল্পের টাকায়। এছাড়া বাড়িগুলিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের টাকা জল ও এসইডিসিএলকে দিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে। ওই পরিবারকে জীবনযাত্রার জন্য পঞ্চায়েতের আনন্দধারা প্রকল্প যুক্ত করতে হবে। নির্মাণ শেষ হওয়া মাত্রই সমীক্ষকরা সরেজমিনে গিয়ে তা দেখবে। ছবি তুলবে এবং জিওট্যাগ করবে। ঘোষণা করবে বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই ব্লক স্তরের আধিকারিকরা তা অনুমোদন করবে।