দুলাল দে, দোহা: চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যাওয়ার পর তাঁকে নিয়ে খোদ ব্রাজিলে (Brazil) যেভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাতে এবার নেইমারের হয়ে ব্যাট ধরতে নেমে পড়লেন ব্রাজিলের প্রাক্তন কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোনাল্ডো (Ronaldo)। যিনি এই মুহূর্তে দোহাতেই আছেন।
তারকাদের নিয়ে ট্রোল করাটা বোধহয় এখন পৃথিবীর সব দেশেই চল। নইলে চোট পাওয়া নেইমারের পাশে না দাঁড়িয়ে যেভাবে তাঁকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন ব্রাজিলিয়ানরা, তা মেনে নিতে পারছেন না রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে নেমারকে উদ্বুদ্ধ না করে আক্রমণ করা হচ্ছে দেখে বেশ অবাকও হয়ে গিয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি স্ট্রাইকার। এদিন তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় গিয়ে নেমারের সমর্থনে বিশাল একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি। যেখানে তিনি নেইমারের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘এরকম ভাববে না, তোমার সঙ্গে ব্রাজিলিয়ানরা নেই। আমার মতো ব্রাজিলের বহু মানুষ তোমাকে ভালবাসে। সম্মান করে। তাঁদের কথা ভেবে এই কঠিন সময়ে নিজের মনকে শক্ত করো।’
[আরও পড়ুন: মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয়ের উদ্দাম সেলিব্রেশন, খালি গায়ে ড্রেসিংরুমে নাচ মেসির!]
নেইমারের চোট নিয়ে এখন দোহায় সারাদিন ধরে নানা খবর ভেসে বেরোচ্ছে। কেউ বলছেন চোটের যা অবস্থা, তাতে সুইজারল্যান্ড ম্যাচটা হয়তো খেলতে পারবেন না। কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচ ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে নিশ্চিতভাবেই তিনি খেলতে নামবেন। কিন্তু এদিন প্র্যাকটিসেও যখন নেইমারকে এসে মাঠের ধারেও বসে থাকতে দেখা গেল না, তখন নেইমারের চোটের অবস্থা নিয়ে সন্দহটা আরও বেড়ে গেল। জানা গেল, হোটেলে সারাদিন নিজের রুম থেকে আর বের হননি। সারাদিন ব্যস্ত ছিলেন ফিজিওথেরাপি করতে। সত্যিই কি নেমারকে পাওয়া যেতে পারে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে? কোচ তিতে বললেন, ‘‘বিশ্বাস করুন, ওর চোটের আপডেট নিয়ে শেষ কথা বলার জায়গায় আমি নেই। ওর চোট কতটা অথবা কী অবস্থায় রয়েছে, তা একমাত্র আমাদের দলের ডাক্তারই বলতে পারবেন।’’
এদিন প্র্যাকটিসে গিয়ে দলের মিডিয়া ম্যানেজার গ্রেগকে জিজ্ঞাসা করা হল নেইমারের চোটের অবস্থা জানতে। তিনিও হেসে বললেন, ‘‘আমি শুধু সরকারি ভাবে বলতে পারি, সোমবার সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে চোটের জন্য নেমার খেলতে পারছে না।’’ নেমারের চোট নিয়ে ব্রাজিল শিবির থেকে সরকারি ভাবে কিছু না বলা হলেও প্র্যাকটিসে গিয়ে অন্য একটি খবরও শুনলাম। সুইজারল্যান্ড ম্যাচে জিতে গেলে, নেমারের চোট নিয়ে আর কোনও ঝুঁকিই নেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে নকআউটে পুরো ফিট নেমারকে খেলানোর জন্য ক্যামেরুনের বিরুদ্ধেও বিশ্রামেই রাখা হবে। আর যদি দেখা যায়, সুইজারল্যান্ড ম্যাচের পরেও ব্রাজিলের পরের রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত হয়নি, তখন ক্যামেরুন ম্যাচের আগে অবশ্যই একটা চেষ্টা করা হবে নেমারকে সুস্থ করে তুলে দলে রাখার জন্য।
তবে ব্রাজিল শিবির সূত্রে একটাই খবর, নেইমারের চোট-পরিস্থিতি মোটেও এত খারাপ নয় যে, বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যাবেন।