রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একদিকে যখন পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সরব বিজেপি (BJP) তখন এদিন ফের গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বেড়েছে কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে। রাতে বিজেপির ভারচুয়াল বৈঠক ছেড়ে ক্ষোভ দেখিয়ে বেরিয়ে যান সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
বৈঠকে তখন দিল্লি থেকে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ নির্বাচনী কমিটির সদস্যরা। রূপা বৈঠকের মাঝখানে হঠাৎই বলেন, এরকম বৈঠকে আমাকে আর ডাকবেন না। ভারচুয়ালি সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে দেন। রূপার ক্ষোভের কারণ অবশ্য স্পষ্ট নয় কারও কাছেই। তবে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসের প্রার্থী না করায় অসন্তুষ্ট রূপা (Roopa Ganguly)।
[আরও পড়ুন: ‘আশীর্বাদ’ হয়ে দাঁড়াতে পারে ওমিক্রন! কেন এমন দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা?]
মঙ্গলবার সকালে গোলমাল বাধে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলর প্রয়াত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। তবে বাস্তবে তা হয়নি। ক্ষুব্ধ গৌরব নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দলের পুরনো কর্মী গৌরববাবুর বক্তব্য, “কাকে সুবিধা করে দিতে বিজেপি আমাকে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করল না? আমি প্রার্থী হচ্ছি বলে সব ঠিক ছিল। প্রায় ১৫ বছর ধরে সক্রিয়ভাবে দলটা করে আসছি।” এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠককে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “কলকাতা বা এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি বা পরামর্শ নেওয়া হয়নি।”
ফলে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে যথেষ্ট অস্বস্তিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীপদের দাবিদার প্রাক্তন যুব নেতা বর্তমানে দলের রাজ্য প্রোটোকল ইনচার্জ চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া এদিনও পার্টি অফিসের সামনে এসে ক্ষোভ জানান। তাঁকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়নি। এরপরই দলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে রাতে তাঁকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছে রাজ্য বিজেপি। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু পুরভোট সম্ভব নয়। তাই কলকাতা পুরভোটেও (Kolkata Municipal Election 2021) কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি। এই দাবিতে সোমবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল তারা। মঙ্গলবার রাজভবনে যান রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, শিশির বাজোরিয়া।