বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ইডির আবেদনেই মান্যতা দিল আদালত। জানানো হয়েছে, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি। কিন্তু কেন দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা ইডির? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রের সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার আঁতাত নিয়ে।
গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকেই ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছিল, তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারনা, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক অজানা তথ্যই বেরিয়ে আসবে। এনিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা দায়ের করে ইডি। এনিয়ে ইডি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে তাঁর দিল্লি যাত্রা ক্রমশ পিছতে থাকে। এদিকে পরে দিল্লি হাই কোর্ট সেই মামলা নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ফলে মামলাটি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টেই চলছিল। গত শনিবার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘ডোকলামের সময়ে চিনাদের সঙ্গে সুপ খাচ্ছিলেন’, রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ অনুরাগ ঠাকুরের]
১৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ইডির তরফে তদন্তের স্বার্থে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে দিল্লিতে। সূত্রের খবর, যত দ্রুত সম্ভব ইডি আধিকারিকরা বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে দিল্লি রওনা হবেন। বর্তমানে তিহাড় জেলেই রয়েছে গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত সায়গল হোসেন। সেখানেই রাখা হবে অনুব্রতকেও। এবার অনুব্রত ও সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরবর্তীতে আসানসোল জেলে জেরায় অসংগতি মেলায় অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করে ইডি।