সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিপাড়ায় নাকি কেউ কারওর ভাল বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন না। এই আপ্তবাক্যকেই কার্যত মিথ্যে প্রমাণ করেছিলেন মিমি এবং নুসরত। দুই অভিনেত্রী-সাংসদের সুসম্পর্কের কথা জানা সকলের। একে-অপরকে ‘বোনুয়া’ বলে ডাকেন তাঁরা। দুই তারকাকে দেখলে ‘সোল সিস্টার’-এর কথা মনে পড়ে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) তাঁদের কথোপকথন নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা। তবে কি সম্পর্ক খারাপ হয়েছে মিমি-নুসরতের? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চতুর্দিকে।
ঠিক কী হয়েছিল? সম্প্রতি একটি মিম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি (Mimi Chakraborty)। ওই মিমে লেখা ছিল, “সমস্যাটা হল মানুষ সততার পথে থাকলে, সে সকলের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠে। আবার মিথ্যাচার করলে সকলের প্রিয় হয়।”
[আরও পড়ুন: ‘নিজের দেশে কী হচ্ছে খোঁজ রাখেন?’ রিহানা-গ্রেটাকে তোপ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের]
কী কারণে মিমি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একথা লিখলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে তারই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের পোস্ট নিয়ে তৈরি হয় নয়া গুঞ্জন। নুসরতের (Nusrat Jahan) ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখা ছিল, “কিছু মানুষ সামান্য স্পটলাইটের জন্য অবলীলায় দীর্ঘ সময়ের বন্ধুকেও ঠকাতে পারে।” এছাড়াও আরেকটি পোস্ট করেন নুসরত। তাতে লেখা ছিল, “জীবনে কে তোমার সামনে সততা দেখাল? সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কে তোমার অনুপস্থিতিতেও সততা দেখাবে, সেটাই আসল।”
বন্ধুত্ব এবং সততা প্রসঙ্গে মিমি-নুসরতের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি (Instagram Story) নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন। কেন দু’জনের মতের মিল হল না, তা বিশ্লেষণে ব্যস্ত দুই অভিনেত্রীর অনুরাগীরা। তবে কি মিমি এবং নুসরতের সম্পর্কে চিড় ধরেছে? কিছুটা হলেও তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে? যাদবপুর এবং বসিরহাটের সাংসদদের নিয়ে সে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে চতুর্দিকে। যদিও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।