সুব্রত বিশ্বাস: দূরপাল্লার ট্রেন থেকে এক হকারকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আরপিএফের বিরুদ্ধে। ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে ফাঁকে ঢুকে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামারকুণ্ডু স্টেশনে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরপিএফ।
জামাইষষ্ঠীর দিন দক্ষিণেশ্বর থেকে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে হকারি করতে ওঠেন রাকেশ ঘোষাল (৫০)। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ কামারকুন্ডু স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার পর চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে ফাঁকে ঢুকে যান। গুরুতর জখম ওই হকারকে সিঙ্গুর রুরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
[আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর ধাঁচে ‘নিযুত ময়না’ প্রকল্প হিমন্তের, প্রতি মাসে ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড সরকারের]
এর পরই হকাররা স্টেশনে জমায়েত করে দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযোগ, চলন্ত ট্রেন থেকে তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। হাওড়া রেল পুলিশের সুপার পঙ্কজ দ্বিবেদী বলেন, "প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চলন্ত ট্রেনের কামরা বদল করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে যদি কেউ অভিযোগ আনে তা হলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" পূর্ব রেলের আরপিএফ আইজি পরমশিব জানিয়েছেন,"এধরনের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। হকার পড়ে গিয়েছেন অসংরক্ষিত কামরা থেকে।" ওই কামরায় আরপিএফ থাকে না বলে তিনি জানান।
আইএনটিটিইউসির সর্বভারতীয় সভানেত্রী দোলা সেন এই ঘটনাকে ‘মোদিবাবুদের বাড়াবাড়ি’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আরপিএফ হকারকে ট্রেন থেকে ফেলে মেরেছে বলে দাবি করে তিনি বলেন,"এটা অত্যাচার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকারিকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। কিন্তু তিনি দায়িত্ব ছাড়ার পর আর সেই পদক্ষেপ কার্য়কর করেনি রেল।"