রাজস্থান রয়্যালস- ১৫২/৭ (যশস্বী জয়সওয়াল ৩৯, তানুষ কোতিয়ান ২৪, রিয়ান পরাগ ২৩, রাবাডা ১৮/৪)
পঞ্জাব কিংস- ১৪৭/৮ (জিতেশ শর্মা ২৯, আশুতোষ শর্মা ৩১, লিভিংস্টোন ২১, মহারাজ ২২/২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেন্ট বোল্ট, আবেশ খান, কেশব মহারাজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ১৪৭ রানে বেঁধে রাখল পাঞ্জাব কিংসকে। সহজেই সেই রান তুলে দিলেন যশস্বী জয়সওয়াল, তানুষ কোতিয়ান, সঞ্জু স্যামসনরা। ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৩ উইকেট হার হল পঞ্জাব কিংসের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সব থেকে বড় শোতে এদিন আধিপত্য ছিল বোলারদের। রাজস্থানের কেশব মহারাজ যেমন ২২ রানে দুই উইকেট নিয়ে নজর কাড়লেন, তেমনই ফর্মে ফিরলেন পাঞ্জাবের বোলিং বিভাগের নেতা রাবাডা। এদিন ১৮ রানে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। এই কারণেই কম রানের ম্যাচকেও শেষ দিকে কঠিন মনে হচ্ছিল। তথাপি দিনের শেষে রাজকীয় জয় ছিনিয়ে নিল রাজস্থানই।
শিখর ধাওয়ান চোটের কারণে না থাকায় এদিনের ম্যাচে পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেন স্যাম কারেন। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ করেননি জনি বেয়ারস্টো ও অথর্ব তাইরে। যদিও আবেশ খানের বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অথর্ব। এর পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। বেয়ারস্টো ১৫, প্রভসিমরিন সিংহ ১০, অধিনায়ক কারেন ৬ রান করে আউট হন। গত ম্যাচের নায়ক শশাঙ্ক সিং ৯ রান করে ফিরে যান। শেষ দিকে কিছুটা লড়াই করেন ১৬ বলে ৩১ করা আশুতোষ। শেষ পর্যন্ত রাজস্থানের বোলারদের দাপটে ১৪৭ রানে শেষ হয়ে যায় পঞ্জাবের ইনিংস।
[আরও পড়ুন: নিজের হাতে ধাওয়ানদের একশোর বেশি আলু পরোটা বানিয়ে খাওয়ালেন প্রীতি, কিন্তু কেন?]
কুড়ি ওভারের আগেই ১৪৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে রাজস্থান, পিঙ্ক জার্সির ওপেনারদের দাপটে এমনটাই মনে হচ্ছিল শুরুতে। ৫৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে রাজস্থানের। পরিণত ব্যাটিংয়ের উদাহরণ রাখেন তরুণ যশস্বী জয়সওয়াল। ৩৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। ধীর গতিতে খেললেও অপর প্রান্তের তনুষ কোতিয়ান মূল্যবান ৩১ বলে ২৪ রান পান। পরে অধিনায়ক সঞ্জু, রিয়ান পরাগ এবং সিমরন হেটমায়ার জরুরি কাজ করেন। যদিও রাবাডা (১৮/২), শ্যাম করনরা (২৫/২) ম্যাচ প্রায় ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন। শেষ বলে ফয়সলা হয় ম্যাচের। আর এক জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল রাজস্থান রয়্যালস।