ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনার জেরে লাটে উঠেছে স্কুলের ক্লাস। তাই পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের জন্য ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee)। কিন্তু সেই সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব জোগাড়ে সমস্যা। তাই এবার অন্য পথ বাছল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার নবান্ন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ট্যাবের বদলে সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার প্রত্যেক পড়ুয়াকে ১০ হাজার টাকা দেবে সরকার। যা দিয়ে পড়ুয়ারা নিজেরাই ট্যাব বা মোবাইল ফোন কিনে নিতে পারবেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন মমতা।
[আরও পড়ুন : ‘স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকেও পলিটিক্যাল মার্ডার বলছে’, বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাড়ে নয় লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সংস্থা একলপ্তে এত সংখ্যক ট্যাব সরবরাহ করতে পারবে না। মেরেকেটে দেড় লক্ষ ট্যাব জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে। এদিকে চিনা ট্যাব কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। ফলে এই বিকল্প ব্যবস্থা করতে হল সরকারকে।
করোনা (Corona virus) পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল, কলেজ। সশরীরে উপস্থিত থেকে পড়ুয়াদের ক্লাস করা হচ্ছে না। তার ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভরসা অনলাইন ক্লাস। তবে যে সমস্ত পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়, সেই সব পড়ুয়াদের কাছে নেই স্মার্টফোন। বাধ্য হয়ে তারা ক্লাসে যোগ দিতে পারছে না। সেই সব পড়ুয়াদের জন্য কল্পতরু হয় রাজ্য সরকার। অনলাইন ক্লাস করার জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও হাই মাদ্রাসার সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে একটি করে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সমস্ত পড়ুয়াদের নগদ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হল।
[আরও পড়ুন : অধরাই কয়লা মাফিয়া লালা, জালে আনতে কলকাতায় তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে CBI তল্লাশি]
তবে এই ঘোষণার পর যথারীতি রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পড়ুয়ারা এই টাকা পাবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। আবার অনেকের ধারণা, পড়ুয়ারা এই টাকা দিয়ে ট্যাব বা ফোন কেনার বদলে অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারে।