সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান উমের আহমেদ ইলয়াসির সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দু’জনে বৈঠক করেছেন। তবে এই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের শীর্ষ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা করছেন ভাগবত। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠক সম্পর্কে আরএসএসের (RSS) প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, “কিছুদিন আগেই ইলয়াসি সাহেব মোহন ভাগবতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই জন্যই আরএসএস প্রধান দেখা করতে গিয়েছিলেন। সমাজের যেকোনও মানুষের সঙ্গেই দেখা করেন তিনি।” জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে বৃহস্পতিবারই বারাণসী আদালতে শুনানি শুরু হবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের উপাসনার আবেদনকে মান্যতা দিয়ে শুনানি শুরু করার রায় দিয়েছিল বারাণসী আদালত। এহেন পরিস্থিতিতে ভাগবতের সঙ্গে ইলয়াসির বৈঠক নিয়ে স্বভাবতই চর্চা শুরু হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।
[আরও পড়ুন: থারুর-গেহলটের পর কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে দিগ্বিজয়, ধর্মসংকটে গান্ধী পরিবার]
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পরে ইলয়াসি বলেছেন, “আমাদের ডিএনএ একই। শুধু ঈশ্বরকে ডাকার পথটা আলাদা।” মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই মুসলিম সমাজের শীর্ষস্তরের পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভাগবত। সেখানেও দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। ভারতের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশির সঙ্গে আলাদা করে দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছিলেন ভাগবত। সেখানে আরএসএস প্রধান বলেছিলেন, “দেশে যেভাবে অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলেছে, তা দেখে আমি সত্যিই খুব দুঃখিত। এভাবে দেশ এগোতে পারে না। সকলের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখলে তবেই দেশের উন্নতি সম্ভব।
কুরেশির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম সমাজের আরও চার প্রতিনিধি। সেখানে উঠে এসেছিল গো-হত্যা প্রসঙ্গও। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার কথা বৈঠকে জানিয়েছিলেন ভাগবত। তার উত্তরে কুরেশি বলেছিলেন, “দেশের নানা প্রান্তেই গো-হত্যা নিষিদ্ধ। সেখানে কেউ আইন বিরুদ্ধ কাজ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে।” তবে মুসলিমদের দেশভক্তি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়, সেই নিয়েও সরব হয়েছিলেন কুরেশি।