স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য সভাপতি পদে নতুন মুখ আসার পর নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে প্রবল চর্চা রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্দরে। আর সেই চর্চার মাঝেই কলকাতায় আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। আগামী ৩১ জানুয়ারি রাতে কলকাতা আসার কথা তাঁর। ১ এবং ২ ফেব্রুয়ারি কেশব ভবনে আরএসএসের অখিল ভারতীয় টোলিতে অংশ নেবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আসছেন সংঘের অন্য ৭ শীর্ষ নেতা। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় থাকবেন ভগবত।
সূত্রের খবর, মার্চে আহমেদাবাদে আসন্ন আরএসএসের (RSS) কার্যকারিণী বৈঠকের প্রস্তুতি হিসাবে কলকাতায় এই চিন্তন শিবিরে আসছেন মোহন ভগবত-সহ আরএসএসের শীর্ষস্থানীয় ৮ পদাধিকারী। এঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সরকার্যবহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। আসছেন অরুণ কুমার-সহ ৬ জন যুগ্ম সরকার্যবহ। যুগ্ম সরকার্যবহ অরুণ কুমারই (Arun Kumar) সর্বভারতীয় স্তরে সংঘ ও বিজেপির মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটি করে থাকেন।
[আরও পড়ুন: করোনাবিধি লঙ্ঘন! বিধাননগরে দিলীপ ঘোষকে পুরভোটের প্রচারে ‘বাধা’]
নির্দিষ্ট কোনও এজেন্ডা না থাকলেও সংঘের ওই টোলিতে পূর্ব ভারতের সাংগঠনিক বিস্তার নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী এক বছর সংঘের কাজকর্মের নীল-নকশা নিয়েও কথা বলবেন শীর্ষ পদাধিকারীরা। এই বৈঠক মূলত কেন্দ্রীয় স্তরের, তাতে রাজ্যস্তরের নেতারা উপস্থিত থাকবেন না। কেশব ভবন সূত্রের খবর, সরসংঘচালকের এবারের সফর পুরোটাই সাংগঠনিক। মূলত এই টোলি বৈঠকের জন্যই শহরে আসছেন মোহন ভগবত। সূচি অনুযায়ী বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কোনও কথা নেই। রীতি অনুযায়ী সংঘপ্রধান কোনও রাজ্যে সফরে গেলে সেখানকার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দেখা করে থাকেন। যদিও করোনা আবহে সেটা সম্ভব হবে কিনা স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ‘পদ্মভূষণ’ প্রত্যাখ্যান বিবৃতির বয়ান নিয়ে পার্টির উপরই ক্ষুব্ধ বুদ্ধদেব-মীরা]
বস্তুত, বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নতুন রাজ্য ও জেলা কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে অশান্তি চরমে। একদিকে যেমন বিজেপির শীর্ষস্তরে শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদাররা রীতিমতো বিদ্রোহী। তেমনি, দলের মতুয়া এবং তফসিলি জাতি, উপজাতির বিধায়কদের মধ্যেও বিক্ষোভের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপির মতো শৃঙ্খলাবদ্ধ দলে যা অনভিপ্রেত। তাই সফরসূচিতে না থাকলেও শেষ মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির দ্বন্দ্ব এড়াতে আসরে নামতে পারেন সংঘপ্রধান। বিজেপি সূত্রের দাবি, দলের রাজ্য সভাপতি, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক-সহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সংঘপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন। যদিও সংঘের দক্ষিণ বঙ্গের প্রচারপ্রমুখ বিপ্লব রায় জানিয়েছেন, টোলি ছাড়া সংঘপ্রধানের অন্য কোনওরকম বৈঠকের কর্মসূচি নেই।